ঢাবির হলে নবীন শিক্ষার্থী তোলা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-24 08:19:09

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে নবীন শিক্ষার্থী হলে তোলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির মতো ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিকে মুহসীন হল ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল হক শিশির ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেনের গ্রুপের মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারমুখী অবস্থান নিতে দেখা যায়।

শিশির কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী। অন্যদিকে, হোসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী।

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থী হলে উঠতে আসলে সাধারণ সম্পাদক হোসেনের গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা তার সাথে কথা বলে রাখলেও সভাপতি শহিদুল হক শিশিরের গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা হলে থাকতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার লোভ দেখিয়ে তাদের গ্রুপে উঠায়। একপর্যায়ে প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জোরজবরদস্তি ও হাতাহাতি শুরু হয়।

হাতাহাতির এক পর্যায়ে সভাপতি শহিদুল হক শিশিরের গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রলীগকর্মী মোহাম্মদ হোসেনের গ্রুপের স্নাতকোত্তর অধ্যয়নরত এক ছাত্রলীগকর্মীর শার্টের কলারে ধরলে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়।

ঘটনার ভিডিও ধারন করতে গেলে মুহাম্মদ হোসেনের গ্রুপের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা আইনুল ইসলাম মাহবুব এক শিক্ষার্থীকে কয়েকটি থাপ্পড় মেরে তার মোবাইল ফোন কেডে নেয় এবং পরে অবশ্য তা ফিরিয়ে দেয়।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে হল ছাত্রলীগ সভাপতি শহিদুল হক শিশির সাংবাদিকদের বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। জানতে পারলে বিষয়টি আমলে নেব।”

এদিকে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমার জানামতে হলে এমন কোনো ঘটেনি। আমি খোঁজ নেব। প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান বলেন, হলে শিক্ষার্থী তোলা নিয়ে যে ঘটনাটা ঘটেছে সেটা যদি হয়ে থাকে খুবই দুঃখজনক, এমন ঘটনা ঘটা উচিত হয়নি। শিক্ষার্থীদের হলে তোলা, আবাসিক কক্ষ বণ্টন করার দায়িত্ব হল প্রশাসনের, এটা অন্য কাউকে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি আমি খোঁজ নেব।

উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগেও দুই গ্রুপের কয়েকজন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জুনিয়র তোলা নিয়ে হল অফিসের সামনেই বাকবিতন্ডায় জড়াতে দেখা যায়। আবার তার কয়েকদিন পর একই কারণে মুহসীন হলের এক্সটেনশনে দুই পক্ষকে রড-স্ট্যাম্প নিয়ে মুখোমুখি হতে দেখা যায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর