ইবিতে যত্রতত্র ময়লার ভাগাড়, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ

বিবিধ, ক্যাম্পাস

ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 02:12:17

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) যথাযত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল ফটকের পাশে, অনুষদ ভবনের পেছনে, লালন শাহ হলের পকেট গেট, টিএসসিসি, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে যত্রতত্র আবর্জনা ফেলায় যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

ডাস্টবিন থাকা অবস্থায়ও যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খাবারের প্যাকেট-উচ্ছিষ্ট, একাডেমিক ভবন ও ল্যাবে ব্যবহারিত জিনিসপত্র। ফলে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে ময়লা-আর্বজনা ফেলায় আবাসিক শিক্ষার্থীদের দুর্গন্ধ সহ্য করেই নিয়মিত যাতায়াত করতে হচ্ছে। ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলায় হলের সামনে পুকুর পাড়েই সৃষ্টি হয়েছে ময়লার ভাগাড়।

লালন শাহ হলের পাশেও একই চিত্র। হলের পকেট গেটে কর্মচারিদের আবাসিক এলাকার ময়লা ফেলার কারণে একটি ভাগাড় তৈরি হয়েছে। এই ভাগাড়ের দুর্গন্ধ সহ্য করেই প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের বাজারে যাতায়াত করতে হয়। শেখ হাসিনা হলের আবর্জনাও ফেলা হচ্ছে হল ফটকের পাশে।

এছাড়া টিএসসিসি, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের পাশে ডাস্টবিন থাকলেও যেখানে-সেখানে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. এস এম নজরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বায়ুবাহিত রোগগুলো সাধারণত আবার্জনা থেকেই বেশি ছড়ায়। এছাড়া শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া এবং আমাশয়ের মতো রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে সহজেই।’

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন পরিবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। তাদের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি বিষয়টি যথাযত নজরদারিতে রাখতো তাহলে এ ধরনের সমস্যা হতো না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক রবীন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হলো অন্যসকল জায়গা থেকে আলাদা একটি পরিবেশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এমন পরিবেশ (ময়লার ভাগাড়) কখনোই কাম্য নয়। প্রশাসনের উচিত বিষয়টি যথাযত নজরদারিতে রাখা।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গ্রিন ইউনিভার্সিটি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আরও কিছু ডাস্টবিন স্থাপন ও ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করি এ সমস্যা আর থাকবে না।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর