জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম সৌরভ দাশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী। অপরদিকে ইভটিজিং এর শিকার হয়েছেন বলে প্রক্টর অফিসে পাল্টা অভিযোগ দিয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মী সামিরা মাহমুদ মিথী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ক্যাম্পাসে মেডিকেল সেন্টারে সেবা নিতে এসে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ কর্মী সামিরা মাহমুদ মিথী এবং রিসাত আরার সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীকে টেনেহিঁচড়ে বাহিরে নিয়ে মারধর করেন তারা।
আহত সৌরভ দাশ জানান, আমি মেডিকেল সেন্টারে প্রেসার মাপতে গিয়েছিলাম। তখন দর্শন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রিসাত আরা নামের একজন শিক্ষার্থী আমাকে চেয়ার থেকে উঠতে বলেন। আমি তাকে আমার দেখানোর পরে বসতে বলি এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে আমার ওপর চড়াও হন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই আপু আমাকে বাহিরে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর বেশ কয়েকজন বড় ভাই এসে কয়েক দফায় আমাকে মারধর করেন।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী আরও জানান, ইকবাল মাহমুদ রানা, সৈকত, মিনন মাহফুজ, মিরাজ হোসাইন, সজীব বুদ্ধসহ আরও বেশ কয়েকজন তাকে মারধর করেন।
অপরদিকে সামিরা মাহমুদ মিথী তার অভিযোগপত্রে বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় আমাদের মেডিকেল সেন্টারে যাই। সেখানে আমি ও আমার এক জুনিয়র রিসাত আরাকে সৌরভ নামের এক ছেলের দ্বারা প্রথমত বেয়াদবিমূলক আচরণ পাই, তারপর অকথ্য ভাষায় গলাগালি এবং যৌন-
হয়রানি মূলক ইঙ্গিত দেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসেন বলেন, আমাদের দু'জন ছাত্রীর সঙ্গে ইভটিজিং করায় তখন কথার কাটাকাটি হলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে ব্যবস্থা নিবে তা আমরা সাধুবাদ জানাবো । হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসে নাই প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলে প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা তাকে (সৌরভ) আহত অবস্থায় পেয়েছি। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসি। আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নিবো।