চাকরির প্রার্থী ভাই, নিয়োগ বোর্ডে ইবি শিক্ষক!

বিবিধ, ক্যাম্পাস

ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 14:30:02

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনের বিরুদ্ধে ‘নৈতিকতা বিরোধী’ কাজের অভিযোগ উঠেছে।

শিক্ষক নিয়োগে নিজের ভাই প্রার্থী থাকার পরও তিনি নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের বিশেষজ্ঞ থাকায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) প্রশাসন এ অভিযোগ এনেছে।

মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীকে বিষয়টি অবহিত করতে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বার্তা২৪কে বলেন, ‘চিঠি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি খুবই বিব্রতকর ও লজ্জাজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যসকল কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রভাষক পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিয়োগ বাছাই বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। বোর্ডে বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন।

ওই নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের পরীক্ষায় তার আপন ছোট ভাই ড. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।

নিয়োগ পরীক্ষার প্রচলিত নীতিমালা অনুযায়ী, সাধারণত কোনো শিক্ষকের নিকট আত্মীয় যদি পরীক্ষায় অংশ নেন, তাহলে ওই নিয়োগ বোর্ডের কর্মকাণ্ডে তিনি অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কিন্তু তার ভাইয়ের বিষয়টি আগে থেকে কাউকে না জানিয়ে উক্ত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মূল্যায়ন করা হয়।

এরপর বিষয়টি জানা জানি হলে গত ৮ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যিালয়ের ৬২তম সিন্ডিকেট সভায় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মূল্যায়ন করার বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়।

সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিনকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে বিষয়টিকে গর্হিত অন্যায় ও নৈতিকতা বিরোধী কাজ বলে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হুমায়ন কবির বার্তা২৪কে বলেন, ‘সিন্ডিকেটে বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তথ্য গোপন করে অধ্যাপক আরফিন নিজের ভাইকে নিয়োগের চেষ্টা করে গর্হিত অন্যায় ও নৈতিকতা বিরোধী কাজ করেছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট তাকে বিশেষজ্ঞ সদস্য হতে অব্যহতি দিয়েছে।’

এছাড়া ভবিষ্যতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকাণ্ডে যাতে তিনি অংশগ্রহণ না করতে পারেন, তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর