ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-02-08 15:32:03

সম্প্রতি বাংলাদেশের ২৩ জন নাগরিককে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) তুলে নিয়ে গেছে। এর আগে বিজিবি সদস্য রইসউদ্দীনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল সাধারণ শিক্ষার্থী। 

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী এ সমাবেশ আয়োজন করেন। বিক্ষোভ মিছিলে 'ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধ কর', 'সীমান্ত হত্যা বন্ধ কর', 'সার্বভৌমত্ব রক্ষা কর', 'মেরুদণ্ডহীন পররাষ্ট্রনীতি শক্ত কর'সহ নানা স্লোগান দেন এই শিক্ষার্থীরা।

বক্তব্যে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলি বলেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২৩ জন সাধারণ নাগরিককে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এখনো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র, এখানে কোনো গড়িমসি চলবে না।

তিনি আরও বলেন, ভারতের সাথে অনেক দেশের সীমানা রয়েছে। সেখানে তো এত মানুষ মারা যায় না। ভারত যদি বন্ধু রাষ্ট্র হয়, কেন আমাদের ভাই-বোনকে গুলি করা হবে? তারা আমাদের টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের নামে নিবন্ধন করেছে। গত ১২ বছর থেকে তিস্তার ন্যায্যতা আমাদের দেয়নি। এভাবে তারা আমাদের উপর নানা ধরনের আগ্রাসন চালাচ্ছে।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, বিএসএফের এমন কর্মকাণ্ডে শুধু সরকার দায়ী নয়; আমাদেরও দায় আছে। আমরা কথা বলি না দেখেই কোন চাপ তৈরি হয় না। আমাদের কোনো ব্যক্তিকে যদি হত্যা করা হয়, তাহলে বন্ধুরাষ্ট্রকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। একইসাথে সম্প্রতি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে এবং ভারতীয় হাইকমিশনারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সামিয়া ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের সাথে যে অন্যায় হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, ৫ ফেব্রুয়ারি ফেনির ছাগলনাইয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ বিষয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফ পতাকা বৈঠক হয় হলেও এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।

প্রসঙ্গত, এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি বিএসএফ কর্তৃক ২৩ বাংলাদেশিকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় এ বিক্ষোভ মিছিল আয়োজিত হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর