চবিতে সংবাদ প্রদর্শনীর স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থের ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ 

, ক্যাম্পাস

চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম | 2024-02-12 15:19:24

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলন 'সংবাদ প্রদর্শনী'র স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থের ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষক সমিতি।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) রাতে মুখোশ পরা দুইজন ব্যক্তি শিক্ষক সমিতির নির্মিত মঞ্চের ক্ষতিসাধন করে। এ সময় তারা কয়েকটি বাঁশ খুলে নেয় ও কয়েক জায়গার বাঁধন খুলে মঞ্চটিকে নড়বড়ে করে দেয়।

সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.আবদুল হক বলেন, প্রশাসনের অনিয়ম এবং দুর্নীতির জন্যই এই সংবাদ প্রদর্শনী। দুর্নীতি আর অনিয়মের সংবাদ দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের এই প্রদর্শনী এখনও চলমান রয়েছে। তাই আমাদের এই কর্মসূচীকে বানচাল করার জন্য সংবাদপ্রদর্শনী স্থাপনাকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য আক্রমণ করা হয়। আমরা খুবই আশাহত হয়েছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন ও নিরাপত্তা প্রহরী থাকা সত্ত্বেও মুখোশধারী কিছু লোক দেশীয় অস্ত্র দিয়ে স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ করে। এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা নিরাপদ নয়, শিক্ষার্থীরাও নিরাপদ নয়।

শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরি বলেন, আমাদের এই আন্দোলন অন্যায়ের বিরুদ্ধে, নিয়মহীনতার বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আমরা এই আন্দোলন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করে আসছিলাম কিন্তু প্রশাসনের ছত্রছায়ায় রাতের অন্ধকারে কে বা কারা আমাদের প্যান্ডেলটির ক্ষতিসাধন করেছে। কিছুক্ষণ আগেও রেজিস্ট্রারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে একটা চিঠি এসেছে সেখানে বলা হয়েছে প্যান্ডেলটি যেন সরিয়ে ফেলা হয়, এতে বোঝা যায় প্রশাসন আমাদের প্যান্ডেলটিকে ভয় পাচ্ছে। কারণ এই প্যান্ডেল থেকে প্রশাসনের দুর্নীতির কথা গুলো সাধারণ শিক্ষার্থী ও মিডিয়া পাড়ার লোকজনেরা জানতে পারছে এটা তারা চাই না। বিশ্ববিদ্যালয় রক্ষার দায়িত্বে আছে প্রশাসন কিন্তু তারা শিক্ষকদের একটি কর্মসূচিকে রক্ষা করতে পারছে না সেখানে তারা কিভাবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিবে। 

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষকগণ।

শিক্ষক সমিতির মঞ্চ ক্ষতিগ্রস্ত কারা করেছে এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নুরুল আজীম সিকদার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর