১৫ বছরে জাবির হলগুলো টর্চার সেলে পরিণত হয়েছে: অধ্যাপক শামছুল

, ক্যাম্পাস

জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-02-13 18:45:46

গত ১৫ বছরে প্রতিটা হল টর্চার সেলে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যে বিচারহীনতা চলছে তার প্রভাব এখানে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়া‌রি) সকাল ৯টায় দ্বিতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে ৫ দফা দাবিতে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে এসব বলেন তিনি।

শামসুল আলম ব‌লেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদকমুক্ত করতে হবে আর অছাত্রদের সরিয়ে দিতে হবে। প্রশাসন আমাদেরকে বলেছিল, পাঁচ কর্মদিবসে অছাত্রদের বের করে দিবে। কিন্তু তারা সেটা পারেনি। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ঢাকায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

'এই প্রশাসন তাদের ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারে না এটাই তারা উপলব্ধি করতে পারছে না' মন্তব্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি ও প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, এক পৈশাচিক ঘটনা জাবির অনেকগুলো ব্যাধিকে দায়িত্বশীলদের সামনে তুলে ধরেছে। এই সংক্রামক ব্যাধিগুলো দূর করা যাবে না এটা এমনও না। এটা অবশ্যই দূর করার মত। কিন্তু এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে যে দায়িত্বশীল হতে হবে সেই দায়িত্বশীলতা আমরা দেখিনি। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কোনো তৎপরতাও আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

এ সময় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায় বলেন, এই ক্যাম্পাসে একজন বৈধ শিক্ষার্থী থাকার জায়গা পায় না, পড়ালেখার জন্য টেবিল–চেয়ার পায় না। অন্যদিকে কিছু অবৈধ শিক্ষার্থী ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে তাদের সঙ্গে লেজুড়বৃত্তি করে হলে থাকছে, যার ফলে বৈধ শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের (একাংশ) আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের যে দাবি তা যৌক্তিক। অছাত্রদের বের না করে বরং প্রশাসন নিয়মিত শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছে। নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিশ্চিতসহ তাকে সহায়তাকারী, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনার দায়ে প্রক্টরের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনের সহায়তায় ২০১৭ সাল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় মাদকের রাজ্যে পরিণত হয়েছে।

এ সময় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমেনা ইসলাম, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নূরুল ইসলাম প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর