জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিজেকে নির্দোষ দাবি অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকীর

, ক্যাম্পাস

জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-03-16 04:08:34

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ দাবি করেন তিনি।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, "ঘটনার সূত্রপাত ০৪ আগস্ট ২০২২ সালে। একটা ফেইক আইডি থেকে আমাদের ১৪ জন শিক্ষার্থীর নামে গুজব ছড়িয়ে কয়েকজন বন্ধুদের কাছে পাঠানো হয়। যেখানে আমার নামেও অনেক মিথ্যা অপবাদমূলক কথা ছিল। এমনকি অবন্তীর নিজের নামও সেই টেক্সটের মধ্যে ছিল। যখন এমন ম্যাসেজ সামনে আসলো, আমি সবাইকে নিয়ে কোতোয়ালি থানায় যাই। সেখানে অবন্তী নিজেও উপস্থিত ছিল। পরবর্তীতে জিডি করা হয়। জিডি করে ফেরার সময় অবন্তী স্বীকার করে যে, ওই ফেইক আইডিটা সে নিজে খুলেছে এবং অন্য একটি মেয়েকে ফাঁসানোর জন্য সে এই কাজটি করেছে।"

স্ট্যাটাসে আরো বলেন, "পরবর্তী দিন এস আই রুবেলকে (কোতোয়ালি থানা) আমরা জানাই যে, আমাদেরই এক ফ্রেন্ড ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এস আই রুবেল আমাদের থেকে অবন্তীর আম্মুর ফোন নাম্বার নিয়ে কল করেন। কল ধরেন অবন্তীর বাবা। সেখানে এস আই রুবেল ভাই আঙ্কেলকে বলেন, 'আপনার মেয়ের বন্ধুদের মধ্যেই যেহেতু বিষয়টি ঘটেছে সেহেতু নিজেরা বসে মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর মাধ্যমে সমাধান করে ফেলেন।' আমরা সবাই যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সেহেতু প্রক্টর স্যারের কাছেও আমরা ব্যাপারটা অবহিত করি, যাতে অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে যেন প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টা সম্পর্কে অবগত থাকেন।"

"অবন্তী এই ঘটনার আগ পর্যন্ত আমার বা আমাদের বেশ ভালো বন্ধুই ছিল। যাই হোক, প্রক্টর অফিস থেকে ওর পরিবারের কাছে চিঠি যায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে অবন্তীর বাবা-মা ক্যাম্পাসে আসেন। প্রক্টরিয়াল তদন্ত কমিটির সামনে পুরো ঘটনার বিস্তারিত স্বীকার করে অবন্তী এবং একটা মুচলেকা দেয়। সেই দিনই অবন্তীর আম্মা আমাদের সবার সাথে বাইরে এসে কথা বলেন। তিনি বলেন, ভালোভাবে বাকী সময়টা যেন আমরা মিলে মিশে পার করি। উনি ওইদিন আমাদের সবাইকে কেকও কিনে খাওয়ান। তার পরবর্তী সময়ে আমি অবন্তীকার সাথে কোনো কথা বলিনি। আর ফেসবুকে তার সাথে আমার তারপর থেকে কোনো যোগাযোগই হয়নি। এমনকি তার সাথে আমার ওই ঘটনার পরে কোনো মাধ্যমেই যোগাযোগ হয়নি।

অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী নিজের বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করতে জিডির কপি, মুচলেকার কপি, কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং যে ম্যাসেজ নিয়ে ২০২২ সালে ঘটনার সূত্রপাত হয় সে সকল স্ক্রিনশট তার স্ট্যাটাসে সংযুক্ত করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর