জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আর কোনো প্রশ্ন নাই সরেন, দিনে-রাতে আমার এই কাজ নাকি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তদন্তে কালক্ষেপ হচ্ছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে উপাচার্য বলেন, হুড়োহুড়ি করে তদন্ত করা যায় না। আমি চাই তদন্ত হোক। সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসুক।
তিনি আরো বলেন, আমার মেয়েরা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ যৌন নির্যাতন সেলে দিতে পারে বা প্রক্টর অফিসে দিতে পারে। এমনকি তারা চাইলে সরাসরি আমার কাছেও দিতে পারে। আমি প্রক্টরকে সেভাবেই নির্দেশনা দিব যদি কোনো নারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করে তবে প্রক্টর যেন সেটা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তদন্ত করে।
এদিকে, অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রায়হান সিদ্দিকী আম্মান (আম্মান সিদ্দিকী) ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷
অবন্তিকার মৃত্যুতে প্রাথমিকভাবে আসামিদের দায় থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ মহিদ উদ্দিন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শুক্রবার রাত ২টার দিকে আম্মান সিদ্দিকী নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া পোস্টে লেখেন, দুই বছর আগে অবন্তিকা নিজেই ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে সহপাঠীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদমূলক কথা লেখেন। পরে বিষয়টি সে নিজে স্বীকার করে নিলে প্রক্টর অফিস থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়। এরপর অবন্তিকার পরিবারের পক্ষে তার বাবা এসে অঙ্গীকার নামা দেন যে, তার মেয়ে ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ করবে না।
এ সংক্রান্ত জিডির কপি, কারণ দর্শানোর নোটিশ, অঙ্গীকারনামা এবং কিছু মেসেঞ্জারে আসা মেসেজের স্ক্রিনশট লেখার সঙ্গে সংযুক্ত করে দেন আম্মান।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ফাইরুজ অবন্তিকা নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক ছাত্রী কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। মৃত্যুর আগে এক ফেসবুক পোস্টে নিজের মৃত্যুর জন্য নিজের সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন। এরপরই ঘটনার বিচার চেয়ে আন্দোলনে নামেন জবি শিক্ষার্থীরা।