জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও যথাযথ মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
রোববার (১৭ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে গিয়ে শেষ হয়। এরপর উপাচার্য 'বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে' শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা আজকে এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে জন্য। দেশ স্বাধীন না হলে আমরা যারা কথা বলছি ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা করছি সেটি কখনোই সম্ভব হতো না। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম ও সংগ্রাম করেছেন। তিনি জীবনের দীর্ঘ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। মাত্র নয় মাসে তিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা। কিন্তু তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশের জনগণের জন্য কাজ করতে পেরেছেন। এই অল্প সময়ে দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন, যা অন্য কারো পক্ষেই সম্ভব ছিল না। উপাচার্য আরও বলেন, জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ দিয়েছেন। এখন তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন, যা রূপকল্প ২০৪১ হিসেব গণ্য। এই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে পারলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ হবে।
আনন্দ শোভাযাত্রায় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান, আবাসিক হল সমূহের প্রভোস্ট, প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, অফিসার এবং কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
এরপর বিভিন্ন ইনস্টিটিউট, শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন বিভাগ, আবাসিক হলের প্রভোস্ট, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ এবং পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর জাতির পিতার আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন সকালে শিশু কিশোরদের মধ্যে জাবি স্কুল ও কলেজে রচনা প্রতিযোগিতা এবং পুরাতন কলা ভবনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। উপাচার্য প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
এছাড়া দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে বেলা সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে "বঙ্গবন্ধু: মানুষ যার জীবনের আরাধনা" শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাদ আছর জাতির পিতার আত্মার শান্তি কামনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ সকল মসজিদে দোয়া এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।