জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ম্যাপ দেখে বিভ্রান্ত হয়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কাঠামোর সাথে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ম্যাপের বিস্তর ফারাক রয়েছে। এছাড়া তথ্য হালনাগাদ না হওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওয়েবসাইটের ম্যাপ বিশ্লেষণ করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
ম্যাপে দেখা যায়, নতুন ভবন (বিবিএ ভবন) এখনো ৭ তলা ভবন হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এটি ১৬ তলা ভবন। ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে বাণিজ্য ভবন হিসেবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্রে উল্লেখ থাকা ইউটিলিটি ভবন ও জুলফা মাহমুদ ভবনের কোনো অস্তিত্ব নেই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পুরোনো ম্যাপে।
ম্যাপ বিশ্লেষণ করে আরও দেখা যায়, গণিত বিভাগের সামনে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এবং কলা অনুষদে নির্মিত মুজিব মঞ্চও সংযোজিত হয় নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাপে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলও স্থান পায় নি ম্যাপে।
আবার, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র বোটানিক্যাল গার্ডেনকে উল্লেখ করা হয়েছে বাগান হিসেবে। বিজ্ঞান অনুষদে টেনিস গ্রাউন্ড ও বাস্কেটবল মাঠ নির্ধারিত থাকলেও সেখানে নেই মাঠের নির্ধারিত সীমানা, নেই বাস্কেট বলের নেট বা টেনিস কোর্টের জাল টানানোর খুঁটি। টেনিস গ্রাউন্ড এবং বাস্কেটবল মাঠ এখন ব্যবহৃত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের গ্যারেজ হিসেবে।
এছাড়াও পোগোজ স্কুল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হলেও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সেই ম্যাপে পোগোজ স্কুলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার বাইরে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, এখনো অন্তর্ভুক্ত হয়নি ২০২৪ সালের নতুন ডায়েরি।
ফরিদপুর থেকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমার সিট পড়েছিলো নতুন বিল্ডিংয়ের ৮ তলায়। জবির ওয়েবসাইটের ম্যাপে ঢুকে দেখি সেই বিল্ডিং ৭ তলা। এতে কিছুটা অবাক হই। পরে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে এসে বুঝতে পারি ম্যাপ আপডেট করা হয় নি।
টাঙ্গাইল থেকে আগত আজিজুল হাকিম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার সিট পড়েছিল ইউটিলিটি ভবনে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ম্যাপে ইউটিলিটি নামে কোনো ভবন নেই। এতে প্রথমে আমি ভেবেছিলাম তারা হয়তো ভুল করেছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারি যে ইউটিলিটি ভবন আছে ক্যাম্পাসে। তবে সেটা ম্যাপে উল্লেখ নেই।
এ বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমি মাত্র দুই মাস হলো জয়েন করেছি। জয়েন করেই নতুন ওয়েবসাইটের কাজ শুরু করেছি। নতুন ওয়েবসাইটের কাজ প্রায় ৭০ ভাগ শেষ। নতুন ওয়েবসাইট আরও আধুনিক হবে এবং সেখানে সবকিছুই প্রতিনিয়ত আপডেট করা হবে। তখন আর এমন কোনো ত্রুটি থাকবে না।