রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের দিনে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কক্ষে ভাঙচুর ও ২৬ হাজার ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলেছে আরেক ছাত্রলীগ নেতা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন- সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ।
বুধবার (১৫ মে) বিকেলে হল প্রাধ্যক্ষকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান। তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ১৯৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, 'গত ১১ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হল শাখা ছাত্রলীগের বিতর্কিত সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে আমার অনুপস্থিতিতে আমার রুমের তালা ভেঙে প্রবেশ করে এবং রুমের ভিতরে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আমার রুমে থাকা ১টি ল্যাপটপ, ২টি ফ্যান, লাইট, ঘড়ি ও রুমের যাবতীয় আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং ড্রয়ারে থাকা মোবাইল বিক্রির ২৬ হাজার টাকা ছিনতাই ও লুটতরাজ করে। অতএব জনাবের নিকট বিনীত আবেদন এই যে, উক্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমার ক্ষতিপূরণ ও অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।'
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, এখন কত কিছুই বের হবে। আমি তো আতিকের রুমেই যাইনি। আর যেখানে আমি যাইনি, সেখান থেকে টাকা পয়সা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এটা একটা ডাহা মিথ্যা অভিযোগ।
এর আগে, গত শনিবার (১১ মে) রাতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে হলের নিরাপত্তা প্রহরীকে আতিকসহ শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীর মারধর এবং ১৩ মে রাতে পুনরায় রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে। এঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিয়াজ মোর্শেদসহ শাখা ছাত্রলীগের ৪ নেতাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।