রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য ও সৌরভ ছড়াচ্ছে দুর্লভ প্রজাতির বনআসরা ফুল। পাঁচ পাপড়ির সাদা ফুলে অসাধারণ সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে দুর্লভ এ ফুল।
মাঝারি আকারের গাছে শতাধিক ফুলের সৌন্দর্য উপভোগে মাতোয়ারা প্রকৃতিপ্রেমীরা। প্রতিরাতে বনআসরার সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও এই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, এবং ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দী করে রাখছেন। অতি বিরল এই ফুলটি দেখতে আগ্রহ বাড়ছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। কেউ কেউ এই ফুলকে ‘আছর’ নামেও ডেকে থাকেন।
জানা গেছে, এই ফুল গাছের পাতা স্বল্প বোঁটাযুক্ত বড়শির ফলার মতো। অগ্রভাগ চোখা, ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। বনআসরা পাতার উপরের দিক সবুজ এবং নিচ দিক পাঁচ পাপড়ির সাদা ফুল। হালকা সবুজ বৃদ্ধি এবং নকশা করা উপবৃত্তিসহ অসাধারণ রূপ ধারণ করে। ফুলে রয়েছে মনোমুগ্ধকর সুগন্ধ। এই দুর্লভ ফুল রাতে দেখা গেলেও দুপুরের আগেই চুপসে যায়। এরপর ঝরে পরে। সাধারণত বীজ থেকেই বংশবৃদ্ধি হয়ে থাকে। তবে কলম করেও চারা তৈরি করা যায়।
দুর্লভ ফুল দেখতে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, সত্যিই এই ফুলের গন্ধ মুগ্ধ করার মতো। অতি বিরল এই ফুল দেখতে পেয়ে ভাল লাগছে। এটি দুর্লভ গাছ বীজ সংরক্ষণ করে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে আমরা খুব সহজেই এই ফুলের সৌন্দর্য এবং গাছ দেখতে পারব। প্রজন্মকে জানান দেওয়ার জন্য দুর্লভ গাছগুলো সংরক্ষণ করা অতি গুরুত্বপূর্ণ।
বনআসরা গাছটি লাগানের মূল কারিগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, চারবছর আগে ঢাকা থেকে এই গাছটির চারা এনে রোপণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এর উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ২০ ফুটের ওপরে। এর উচ্চতা আরও বাড়বে। এই ফুল রাতে ফোটে। দুপুর হতে হতেই নেতিয়ে পড়ে। এর গন্ধ মানুষকে মুগ্ধ করে। এই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।