ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক সম্মেলনে চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (১১ জুন) এ সম্মেলনে ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করায় হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তারা।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের চেয়ারম্যান সোলায়মান মিয়া বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল অবৈধ, কারণ হাইকোর্ট অনুধাবন করেছে যে এটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। তাদের অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে। তাই হাইকোর্ট আবার কোটা ফিরিয়ে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে ২৫ শতাংশ জনতা স্বাধীনতাবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিল, তারাই আজকে কোমলমতি ছাত্রদেরকে উসকে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছে। আজ যদি মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন না করতো, তাহলে যে অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল করেছে, তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে পারতেন না। এ সময় তিনি ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার’ সন্তান ও নাতি সেজে মিডিয়াতে কোটার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তাদেরকে শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
সংসদের মহাসচিব শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, ৩০ শতাংশ কোটা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের কোটা। এ কোটা ফিরিয়ে দেওয়ায় আমরা হাইকোর্টকে সম্মান জানাই। মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি ভেঙে দেওয়ার জন্য প্রেতাত্মারা বসে আছে মসনদে। কোটা এখনও পূরণ হয়নি। এ কোটা বলবৎ করতে হবে। এ কোটা সংরক্ষণের জন্য সংসদে আইন পাস করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারি অফিসগুলোতে ৫ থেকে ৭ শতাংশের ওপরে কোটায় চাকরি হচ্ছে না। তাহলে কেন ৩০ শতাংশ কোটা নিয়ে এত মাতামাতি করা হয়। যারা মুক্তিযুদ্ধ মানে না, যারা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ মানে না- তাদেরকে চিহ্নিত করে প্রথম শ্রেণির নাগরিকত্ব বাতিল করে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকত্ব দেন। কোটা বহাল রেখে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের চাকরির সুযোগ দিলে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন সহজ হবে বলেও মনে করেন তিনি।