কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতি পদোন্নতি বাদে নতুন নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছেন। তবে এই দাবি 'অযৌক্তিক' বলছেন উপাচার্য।
মঙ্গলবার (১১ জুন) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মাহমুদুল হাছান খান স্বাক্ষরিত এক চিঠির থেকে এ বিষয় জানা গেছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, '৯৫তম সিন্ডিকেট সভায় যেসকল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা শিক্ষক সমিতি পেয়েছে। তবে শিক্ষকদের যেসকল দাবিসমূহ ছিল, সেগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে না মেনে নেওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি যারা ইতিমধ্যে পদোন্নতি বা স্থায়ীকরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তাদের বিষয়টি যথাযথভাবে নিষ্পত্তি করা জরুরি। তাছাড়া শিক্ষকদের উপর ২৮ এপ্রিল যে হামলা করা হয়, সেটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি ব্যতীত কোনো প্রকার নতুন নিয়োগ না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।'
এই বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, 'আমাদের উপরে ২৮ তারিখ যে হামলা করা হয়েছিল সেখানের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশী। আমাদের অনুমান যে, যদি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়ার আগে কোনো নিয়োগ হয়, তবে সে হামলার সাথে জড়িতরা চাকরি পেতে পারে। তাই আমরা উপাচার্য স্যারকে গিয়ে আজ অনুরোধ করেছি, সম্পূর্ণভাবে আমাদের দাবি-দাওয়া নিষ্পত্তির আগে যেন উনি কোনো নিয়োগ না দেন এবং এই সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছি।'
তবে এই বিষয়টিকে 'অযৌক্তিক' দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, 'আমাদের প্রশাসন এবং সকল কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালানোর জন্য নিয়োগ দেওয়া জরুরি৷ এখন উনারা যেভাবে নিয়োগ স্থগিত করতে বলছেন, এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমরা যথাযথ নিয়ম, যেভাবে নিয়োগ দিয়েছি সেভাবে সকল আইন মেনেই নিয়োগ দিব।'