ঈদের ছুটির মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মচারী ফরিদ উদ্দীন প্রটোকলে গাছের গুড়ি ও খড়ি পাচারের প্রমাণ মিলেছে। এর প্রেক্ষিতে ওই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্তের পর এবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এই কমিটিকে দ্রুততম সময়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এই কমিটিতে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহের আলীকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদুর রহমান টিটুকে সদস্য এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-রেজিস্ট্রার আসাদুজ্জামানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ জুন থেকে কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা-বিধির ১২ এর ১ ধারা তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আনসাররা জানিয়েছে, গত ১৪ জুন আনুমানিক ভোর পাঁচটার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক দিয়ে ৭-৮টি ভ্যানযোগে গাছের গুড়ি ও খড়ি পাচার হয়। এসময় আনসার সদস্যরা ভ্যান বের হতে বাঁধা দেয়। পরে ওই নিরাপত্তাকর্মচারী নিজে গিয়ে ‘ভ্যান পাসের’ ব্যাবস্থা করেন। এসময় অভিযুক্ত সেই কর্মচারী বাইকযোগে ওই স্থানে টহলের মাধ্যমে প্রটোকল দিচ্ছিলেন এমন একটি ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি বাইক নিয়ে ফটকের বাইরে ভেতরে যাওয়া আসা করছিলেন। এসময় একে একে কয়েকটি ভ্যান বের হতে দেখা যায়। সেগুলোতে কয়েকটি বড় গাছের গুড়ি আর কয়েকটিতে ছোট-বড় খড়ি ছিল। এদিকে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের পানি জমিতে সেচের অভিযোগও আছে।