ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) লাইব্রেরি বন্ধ রাখায় প্রধান প্রবেশপথ ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (০১ জুলাই) বিকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়েছেন লাইব্রেরি ফটকে, কিন্তু গেট বন্ধ রয়েছে। জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে গেট খোলা হবে কর্মচারীদের থেকে এমন আশ্বাস পেলে শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা করেন। তবে লাইব্রেরি আর খোলা হয়নি। এতে শিক্ষার্থীরা প্রবেশপথে সামনে থাকা কিছু ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং গেটে ধাক্কাধাক্কি করেন। এতে লাইব্রেরির প্রবেশ গেইট কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা বার্তা২৪.কম-কে জানান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আন্দোলন করছেন, তবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা অব্যহত রাখার জন্যে লাইব্রেরি খোলা রাখা উচিৎ। পড়াশোনার জায়গা কেন বন্ধ হবে? আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা কম।
এর আগে, সকাল থেকে সারাদেশের ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মবিরতি চলছে। কর্মবিরতির সমর্থনে কলা ভবনের মূল ফটকের অভ্যন্তরে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। একই সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও কর্মবিরতি পালন করেন।
এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা গণমাধ্যমকে জানান, ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরাই শিক্ষক হবে। সর্বাত্মক সকল প্রকার প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক কাজ বন্ধের অংশ হিসেবে লাইব্রেরি বন্ধ রয়েছে। আন্দোলনে সর্বাত্মকতা বন্ধ রাখার জন্য এটা করা হয়েছে। ছাত্রদের জন্যই এ আন্দোলন, আগামীতে তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হবে।
তিনি জানান, আন্দোলনের জন্য আমাদের কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমরা বারবার বলেছি, কঠিন সিদ্ধান্তে যেতে বাধ্য করবেন না। আমাকে প্রশ্ন না করে অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রশ্ন করুন, কেন ছাত্ররা লাইব্রেরিতে ঢুকতে পারছে না, শিক্ষকদের লাইব্রেরি না খোলার মত অবস্থায় যেতে হলো।
প্রসঙ্গত, এর আগে দুপুরে ঢাবি শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন, তবে লাইব্রেরি খোলার রাখার দাবি জানান।