অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহারের দাবিতে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) এর শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে।
বুধবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এতে অচলাবস্থায় পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয়, বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা। এমতাবস্থায় শিক্ষকরা সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মূলত রোববারের ( ১ জুলাই ) ঘোষণা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ।
এ সময় মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে এক শিক্ষক বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন একটি শান্তিপূর্ণভাবে এই পেনশন সংক্রান্ত 'বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন' প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছি। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একই যৌক্তিক দাবি জানিয়ে আসছে। আমাদের দাবি যখনই সরকার মেনে নিবে, আমরা তখনই আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থেকে সরে আসবো।'
তিনি আরও বলেন, 'বৈষম্যমূলক’ প্রত্যয় স্কিম থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহকে বাদ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে।'
মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক শিক্ষক বলেন, 'আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়। শিক্ষকরা সকল কিছু কাণ্ডারি। কেননা এসব ছেলেদের যোগ্য করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়া গবেষণা, নতুন কিছুর উদ্ভাবন এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই করেন। এখন সার্বজনীন পেনশন স্কিমের যে বৈষম্য বিরাজমান হচ্ছে এতে করে শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এই নীতিতে গবেষণা বা এই ধরনের কাজ বাদ দিয়ে ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় পড়তে হবে শিক্ষকদের। শিক্ষককে অবমূল্যায়ন করে কোনো জাতি কখনো বড় হতে পারে নি, পারবে না। একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান ও সুযোগ দেওয়ার বিকল্প নেই। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উভয়ের কথা বিবেচনা করে সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।'