সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে চতুর্থ দিনের মতো সমবেত হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকে বৃষ্টি থাকলেও নির্ধারিত সময়ে সমবেত হতে দেখা যায় ঢাবি শিক্ষার্থীদের।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’–এর ব্যানারে মিছিল নিয়ে সংগঠিত হন শিক্ষার্থীরা এবং এখান থেকে তারা পদযাত্রা শুরু করবেন বলে জানান।
এর আগে ৫ জুন সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন উচ্চ আদালত। ওই দিন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামেন। এ অবস্থায় আদালতের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য আজ ৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানি হয়, আপাতত আগের মতোই বহাল থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা। তাই পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজও হচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলন।
প্রসঙ্গত, এ সময় 'কোটা না মেধা? মেধা মেধা',জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে, লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে, কোটা না মেধা মেধা মেধা, সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথার কবর দে সহ শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগানে মুখরিত হুচ্ছে ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এলাকা।