জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দেয়ার ষড়যন্ত্র এই প্রত্যয় স্কিম: ইবি শিক্ষক সমিতি

, ক্যাম্পাস

ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-07-09 14:20:17

শিক্ষকদের কর্মবিরতির আজ ৯ম দিন। সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিল করে সুপার গ্রেডে অন্তর্ভূক্তির দাবিতে, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন হয়েছে দেশের ৪০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরই অংশ হিসেবে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের নিচ তলায় দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এবং সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান এর নেতৃত্বে শতাধিক শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এই কর্মবিরতি পালিত হয়।

এসময় কর্মবিরতিতে অংশ নেয়া শিক্ষক নেতারা বলেন, জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর। আর এই পেশায় এই প্রত্যয় স্কিম ঢুকিয়ে মেধাবীদের আসতে না দিয়ে জাতিকে তারা মেরুদণ্ডহীন করে দিবে। পেটের দায়ে আজকে আমাদের এই আন্দোলনে আসতে হচ্ছে। একজন শিক্ষক তার চাকরি জীবন শেষ করে ৭৫ বছর পর কি আত্মহত্যার পথ বেছে নিবে? একজন শিক্ষক যদি তার চাকরি জীবন শেষ করে স্বনির্ভর না হতে পারে তার থেকে লজ্জার কিছু থাকবে বলে মনে হয় না। তাদের চাওয়া যেন আর কেউ তাদের উপর মাথা উঁচু করে কথা না বলতে পারে। তাই আমাদের ছাত্রদের প্রতি আহ্বান থাকবে তারাও এই ব্যাপারে সচেতন থাকে।

বক্তারা আরও বলেন, আজকে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক দেখাতে পারবেন না, যার কানাডার বা মালেশিয়ায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। কিন্তু সরকারের নীতি নির্ধারকদের দেখবেন এসবের কোনো অভাব নেই। এইটা একটা ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র শিক্ষাকে ধ্বংস করে দেয়ার ষড়যন্ত্র। তাই আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাথে থেকে এই কর্মবিরতি পালন করে যাবো।

এসময় তারা বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিয়ে গত পরশু সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সারাদেশে শিক্ষকদের সর্বাত্মক আন্দোলনে ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে গেলেও সর্বজনীন পেনশন নিয়ে শিক্ষকদের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো কথা বলেননি। আমাদের সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে এর সমাধান দিয়ে আমাদের ক্লাসে ফিরিয়ে নেয়।

কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষকরা জাতির বিবেক, কিন্তু এই শিক্ষকদের আজকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তাই শিক্ষার্থী যারা আছেন তারাও আমাদের সাথে একমত পোষণ করবেন।

তিনি বলেন, আজকে শিক্ষার্থীদের নানাভাবে উস্কিয়ে দেয়া হচ্ছে। তাদেরকে বলা হচ্ছে কতজন তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারবা? তোমাদের তো লক্ষ্য হওয়া উচিত বিসিএস। তবে আমি শিক্ষার্থীদের বলবো দুইটি কারণে হলেও আমাদের সাথে থাকা উচিত তোমাদের। ১) আপনাদের পিতা-মাতার পরেই শিক্ষকদের স্থান এবং ২) জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করার যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য হলেও এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়া দরকার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর