অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত সর্বজনীন পেনশনকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে মিছিল শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, শহিদ মিনার, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ হয়ে প্রশাসনিক ভবনে এসে শেষ হয়। এরপর দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, বিভাগ ও পর্ষদ থেকে প্রায় পাচঁ শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
চবি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব ও কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোঃ সুমন (সুমন মামুন) বলেন, বৈষম্যমূলক প্রত্যয় স্কিম হতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্তি বাতিল এবং ইউজিসি কর্তৃক প্রণীতব্য অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি চলমান রয়েছে এই আন্দোলনের কারণে দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। সরকার বিষয়টিকে জাতীয় ইস্যু বিবেচনা পূর্বক অচিরেই সমাধান করবেন বলে বিশ্বাস রাখি।
কর্মসূচিতে চবি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলী বলেন, আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি। আমরা চাই কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে। কিন্তু আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সমাধান পাইনি। আমরা যেহেতু আন্দোলনে নেমেছি তাই এখান থেকে সরে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট কতটা ভয়াবহ তা আমি জানি। কারণ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম আমি। তাই শিক্ষার্থীদের দ্রুত ক্লাসে ফিরিয়ে নিতে আপনারা আমাদের দাবি মেনে নিন।