সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করেছে দেশের সকল পাবলিক, জাতীয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরই অংশ হিসেবে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কে ১০ কিলোমিটারের বেশী যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় একত্রিত হয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ সড়কে ১০ কি.মি. এর বেশী যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এসময় মহাসড়কে আটকে থাকা যাত্রীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন যৌক্তিক। একটি দেশ স্বাধীন করার পিছনে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান কখনো অস্বীকার করবো না। তবে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা অযৌক্তিক। আজকে আমরা এখানে কষ্ট করছি সত্য, তবে এই কষ্টের বিনিময়ে হলেও কোটা ব্যবস্থার সংস্কার হোক। তাহলে এই কষ্ট আমাদের গায়ে লাগবে না। সরকারের প্রতি আহবান থাকবে যেনো খুব দ্রুত এই বিষয়টি আমলে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সন্তুষ্ট করে এবং যাত্রীদের দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করে।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আজকে বাংলা ব্লকেডের সকাল-সন্ধ্যা মহাসড়ক অবরোধের অংশ হিসেবে আমরা রাজপথে অবস্থান করছি। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে যাবো না। হাইকোর্টের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, যেন এই কোটা বৈষম্য দূর করে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য জায়গা তৈরি করে দেয়।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরির সব গ্রেডে সকল প্রকার ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক’ কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের এক দফা দাবিতে সারা দেশে সড়ক অবরোধের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা।