জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী-পুলিশ-ছাত্রলীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুই অধ্যাপকসহ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের দমাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে পুলিশ গুলি চালালে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. খোঃ লুৎফুল ই এলাহীর চোখে রাবার বুলেটের স্প্রিন্টার ঢুকলে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। এছাড়া প্রচুর ব্লিডিং হয়েছে। দায়িত্বরত ইমারজেন্সি ডাক্তার বলেছেন, চোখের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত পৌনে তিনটায় উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে পুলিশ গুলি চালালে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে সোমবার (১৫ জুলাই) রাত পৌনে ৮ টায় আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ থামাতে গেলে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আওলাদ হোসেন আহত হন। এছাড়া রাতভর সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ৩ প্লাটুন পুলিশ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নুরুল আলমের বাসভবনে আশ্রয় নিলে তাদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এছাড়া তাদের লক্ষ্য করে পেট্রোলবোমা মারার ঘটনাও ঘটে৷ প্রথমে আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগের আক্রমনে পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসে আন্দোলনকারীদের সাথে যোগ দিলে পুলিশও সংঘর্ষে জড়ায়।
এদিকে সোমবার রাত নয়টায় দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলমের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে আসলে অতর্কিত হামলা করে ছাত্রলীগ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাসিব জামান বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। মিছিলে ছাত্রলীগ আমাদের ওপরে অতর্কিত হামলা করে। ছাত্রলীগের এই হামলায় আমাদের একজন শিক্ষক পর্যন্ত আহত হয়। এই সময় প্রক্টোরিয়াল টিম এবং কোনো নিরাপত্তা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিল না। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে আমাদের উপরেই হামলা চালানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ অভিভাবক এজন্য আমরা তার কাছে বিচারের দাবিতে এসেছি।