কোটা সংস্কার আন্দোলনে যাওয়ার ও ছবি পোস্ট করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের সাত শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেছে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা। এর মধ্যে তিনজনকে হল থেকে বের করে দিয়েছেন তারা।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল থেকে রাতের বিভিন্ন সময়ে এসব মারধরের ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ভুক্তভোগীরা হলেন- ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের হাসিবুল ইসলাম হাবিব,২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল বাসিত, শাখাওয়াত হোসেন সাকু, লিমন খান রানা, মোর্শেদ ইসলাম। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ফারুক ও তাওহীদ ইসলাম। এছাড়া হলের ৩১৯ নং কক্ষ থেকে নেয়ামত নামে এক শিক্ষার্থীর বিছানা বাইরে ফেলে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাখাওয়াত ও বাসিতকে বেশি মারা হয়। বাসিত হাসপাতালে যাচ্ছিল তখন ফোন চেক করে বেধড়ক মারধর করা হয়। এছাড়া লিমন, শাখাওয়াত ও মোর্শেদকে হল থেকে বের করে। এসময় হল ছাত্রলীগের সব শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও হলের অনেকের ফোনও চেক করেন তারা।
মারধরে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের নেতারা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী নাহিদ, ইমরান, আসিফ, শুভ, নুহাস ও আলিফ। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারীরা হলেন- শাহারাত, নাসিফ, শওকত, রিফাত ও লিয়ন। ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি শয়নের অনুসারীদের মধ্যে ছিলেন ফজলে রাব্বি এবং সাধারণ সম্পাদক সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে ছিলেন লালন।