দেশব্যাপী চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লাঠি সোঁটা নিয়ে মহড়ার পর থেকে আতঙ্কে হল ছাড়তে শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিংয়ের সিদ্ধান্তে দুপুর ১ টায় শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে হলে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরাও বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বুধবার সকাল ৭টার দিকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হল ঘুরে দেখা যায়, দলে দলে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা ব্যাগপত্র নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ রাসেল হল, শেখ হাসিনা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, সাদ্দাম হোসেন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বেডিংপত্র নিয়ে চলে যাচ্ছেন। অনেক শিক্ষার্থীকে দেখা গেছে ক্যাম্পাসের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে, আবার অনেকেই পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া থেকে ডাইরেক্ট বাসে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এসব হলের বিভিন্ন ব্লক ঘুরে শতকরা ২০ জন শিক্ষার্থীকেও পাওয়া যায়নি। যদিও বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি কোনও শিক্ষার্থী। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশকে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থী বলেন, মঙ্গলবা (১৬ জুলাই) কোটা বিরোধী মিছিলে হাজারখানেক ছাত্র-ছাত্রী ছিল। আমাদের সবার ক্যাম্পাসে থেকে অধিকার আদায়ের ইচ্ছে ছিল কিন্তু এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। কাল বিকেল থেকেই বাসায় যাওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যরা ফোন করছে। রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। এখন বাড়ি চলে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। মঙ্গলবার রাতে দেওয়া ইউজিসির এ নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আবাসিক হল ত্যাগ করে নিরাপদ আবাসস্থলে অবস্থানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।