সারাদেশে শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদ এবং ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৮ জন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।
সোমবার (২৯ জুলাই) পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেল ৩টায় কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড়ে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিলে তাদের বাধা প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশবাহিনী। এসময় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে নিলে সেখানে ৩০ জনকে আটক করে পুলিশ। এরমধ্যে ১৮ জন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে নিশ্চিত করেছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার।
এবিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা চৌড়হাস পৌঁছে দেখি বিজিবির বেশকিছু সদস্য উপস্থিত আছে, পুলিশও ছিলো। আমরা চৌড়হাস নেমে রাস্তার পাশে অবস্থান করি। তারপর ছেলেপেলে জড়ো হলেই ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। আমরা পরবর্তীতে টার্মিনালে এসে অবস্থান নেই। তারপর পুলিশ সদস্যরা এসে আমাদের দৌঁড়াতে থাকে এবং আমাদের জেলখানা মোড়ের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে আসে। তারপর যাদের ধরতে পারছে তাদের আটক করে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, বিকেলে যারা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছে এমন আনুমানিক ৩০ জনকে নাশকতার আশংকা থেকে কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাসসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে থাকা বিভিন্ন ডকুমেন্টস দেখেছি। নানা আঙ্গিকে চিন্তা-ভাবনা করে আটক করা হয়েছে। আমরা যাচাই-বাছাই করবো করে যদি দেখি ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নয়, তাহলে সেক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করবো।
এ বিষয়ে ইবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। কুষ্টিয়া পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।