শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে একটি মিছিল করেন। এসময় তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়ে নানা স্লোগান দেন। এদিকে সকাল ১১ টায় অপরাজেয় বাংলার সামনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ একটি সমাবেশ করেন।
শিক্ষার্থীদের ‘হত্যা’ এবং আন্দোলন পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক সরকারি ও বেসরিকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি অংশ।
বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন ফটক থেকে উপাচার্য চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। পরে মৌন মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান এই শিক্ষকরা।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, যারা গণহত্যার স্বীকার, তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আপনারা জানেন, আমাদের কতজন ছাত্র নিহত হয়েছে। রাস্তায় মাথায় গুলি খেয়েছে। সমাবেশে গুলি খেয়েছে। পালিয়ে যাচ্ছিল, সে অবস্থায় গুলি করা হয়েছে। আহত অবস্থায় পড়ে ছিল, সে অবস্থায় গুলি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা শুধু আমাদের ছাত্রদের হত্যার বিচার চেয়েছিলাম। আমরা দেখলাম, শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার প্রধানের কোনো কান্না নাই। তার যত কান্না স্থাপনার জন্য। আজকে পত্রিকায় দেখবেন, আমাদের যে ছাত্ররা, তারা নাকি সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা গেছে। আমাদের চোখের সামনে দেখলাম পুলিশের পোশাক পরে গুলি করা হচ্ছে। চোখের সামনে দেখলাম আবু সাঈদকে গুলি করা হয়েছে। সব বাহিনী গুলি করছে। (যখন এমন দেখি) তখন আমাদের মনে হয় এই সরকার হত্যাকারীদের বিচার করবে না। কারণ নিজেই খুনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ছাত্রদের অনিরাপদ রেখে আমরা কোথাও বসে থাকব না। যদি খুনের বিচার না করতে পারেন, তাহলে পদত্যাগ করুন।
এদিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই প্রতিবাদ সভা আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকরা। প্রতিবাদ সভায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর চলমান হয়রানি ও সহিংসতার প্রতিবাদ জানান তারা।