জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেদখল ১১ টি হল দখলমুক্ত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অনেকেই।
এদিকে হল উদ্ধারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেছেন, ‘হল উদ্ধারের জন্য দুটি বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে- একটি হলো আইনগত বিষয়, আরেকটি আমাদের অধিকারের বিষয়। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য যা করার দরকার তাই করবো।’
এর আগে সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নূর নবী বেদখল হল দখলমুক্ত করার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী স্যারের নেতৃত্বে আগামীকাল সকাল ১০টায় হল আন্দোলন শুরু হবে। আমরা আশা করবো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে হল উদ্ধারে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যুক্ত হবেন।
এরপরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা হল উদ্ধারের আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরীর বলেন, এর আগেও ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে হল উদ্ধার আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তখন হল উদ্ধারের জন্য ক্যম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তখন স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে পেরে ওঠেনি শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে হল উদ্ধারের আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা।
তিনি আরও বলেন, পরে সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেরানীগঞ্জে স্থানন্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আমাদের এই ১১টি হলে তো এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন অবস্থান করেছিল। যারা হলগুলো দখল করে নিয়েছে, তারা কোন ডকুমেন্টসের ভিত্তিতে দখল করেছে- সেটা দেখার বিষয় আছে।