আর মাত্র ১০ দিন পরেই চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল আলমের মেয়াদ শেষ হতো। কিন্তু তার আগেই সরতে হলো তাকে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুধবার (১৪ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি বরাবর তিনি পদত্যাগের আবেদন করেছেন।
চুয়েট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলামের কাছে তিন দফা দাবি লিখিতভাবে পেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনবিরোধী পোস্ট করায় তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন মোহাম্মদ শামসুল আরেফিনকে ডিনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির দাবি জানানো হয়।
এছাড়া চুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি সাগরময় আচার্য, সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সহসভাপতি ইমাম হোসেন নীরব, সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মাহমুদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল ও আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করা হয়।
বৃহস্পতিবারের (১৫ আগস্ট) মধ্যে নতুন উপাচার্য নিয়োগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এসব দাবি পূরণ না হলে একাডেমিক কার্যক্রমে না ফেরাসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্যের পদত্যাগের আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিবের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর উপাচার্য পদত্যাগের আবেদন করেছেন। পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ রফিকুল আলম ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট দ্বিতীয় মেয়াদে চুয়েটের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান। এ মাসের ২৫ আগস্ট তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছাত্র আন্দোলনের মুখে তার আগেই পদত্যাগ করতে হলো তাকে।
এদিকে ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী ছাত্রকল্যাণ পরিচালক মো. রেজাউল করিমকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হযেছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।