সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১৪-০৮-২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত ডিন কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করা হলো। কোনো শিক্ষার্থী ও শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারী কোন ধরণের রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা থাকলে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে, গত কয়েকদিন ধরেই রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস, উপাচার্যের পদত্যাগসহ কয়েকদফা দাবিতে আন্দোলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে গতকাল ডিন কাউন্সিলের জরুরি সভার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন ও সিন্ডিকেট সভায় পাশ করার আহবান জানান শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিকৃবির সমন্বয়ক আজিজুল হক আজাদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপির প্রেক্ষিতে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি ডিন কাউন্সিলের সভায় পাশ হয়েছে। আমাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে আছে গণহত্যার সমর্থক উপাচার্যের পদত্যাগ, এছাড়া শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিচার, দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দেয়া ও ছাত্রসংসদ চালু করা। আমরা চাই এই দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হবে এবং সিন্ডিকেট সভায় পাশ হবে। যতদিন এই দাবিগুলো আদায় হবে না ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।