কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্লাস চালু করার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। একই সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে না থাকায় উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈন ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবিরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৮ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদারের কাছে এ দাবিসমূহ পেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
সশরীরে ক্লাস চালুর পাশাপাশি মোট তিনটি দাবি উত্থাপন করেছে তারা। দাবিসমূহ হলো- (১) রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য দপ্তরে কোনো নথি আদানপ্রদান হবে না, (২) পূর্বের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক কোনো প্রকার (অনলাইন/ অফলাইন) মিটিংয়ে যুক্ত হতে পারবে না এবং (৩) আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সশীরের শ্রেণী কার্যক্রম চালু করতে হবে।
এ বিষয় কুবির সমন্বয়কদের একজন মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, এর আগেও এই শিক্ষকদের নিজেদের ক্রোন্দলের কারণে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ক্লাস পরীক্ষা থেকে দূরে থাকতে হয়েছে। তারা যদি এখনও আবার শিক্ষার্থীদের সাথে এমন করেন তাহলে আমরা ধরে নিবো তারা ফ্যাসিস্টদের দোসর এবং তাদের প্রতিহত করতে শিক্ষার্থীরাই পরবর্তী ব্যবস্থা নিবে।
দাবিসমূহের বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, আমি নিজেও এই আওয়ামী সরকারের দ্বারা বারবার বৈষম্যের শিকার হয়েছি। আমার নিজের পদে আমাকে তারা বসতে দেয় নি। আজ আমি আমার পদে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের কারণেই, আমি শিক্ষার্থীদের সাথে আছি। তাদের দাবিসমূহ সম্পন্ন করতে আমি প্রশাসনিক যত সহযোগিতা প্রয়োজন হবে সকল সহযোগিতা করবো।