যে ২ কারণে আটকে আছে ঢাবির শ্রেণি কার্যক্রম

, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-08-18 14:55:52

সারাদেশে সকল পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) খোলা থাকলেও ২টি কারণে এখনো শ্রেণি কার্যক্রম চালু সম্ভব হচ্ছে না। আবাসিক হলে সিট বণ্টন ও উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া অবধি চালু হচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম। এদিকে একাডেমিক কার্যক্রম বিলম্বিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আছেন সেশনজটসহ নানারকম শঙ্কায়।

রোববার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম ও উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে এটি নিশ্চিত করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম বার্তা২৪.কমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা আছে, তবে একাডেমিক কার্যক্রম এখনই চালু করা সম্ভব নয়। কারণ নতুন উপাচার্য এখনো নিয়োগ হননি। নতুন উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে সভা হবে, একাডেমিক কার্যক্রম চালুর ব্যাপারে কথা হবে, তারপর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব।

অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রয়েছে। তবে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার বিষয়ে এখনো কাজ চলমান। আবাসিক হলগুলোতে যদি সব শিক্ষার্থী না ফেরে, তাহলে অনেকেই ক্লাস-পরীক্ষা মিস করে ফেলবে। তাছাড়া হলগুলোতে এখন সিট বরাদ্দের কার্যক্রম চলছে। এ কাজটি শেষ হয়ে গেলেই আমরা একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করব।

তিনি আরও জানান, এখন যদি এখনই পরীক্ষা শুরু করে দিই, তাহলে অনেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। তাই আমরা আগে ক্লাস শুরু করার বিষয়ে ভাবছি। এ ছাড়া অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশোনা শেষ হয়েছে, তারা হল ছেড়ে চলে যাবে। সেখানেও একটি প্রক্রিয়া রয়েছে এবং ফাঁকা হওয়া আসনগুলো আবার মেধার ভিত্তিতে বরাদ্দ দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, ১ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের 'প্রত্যয়' পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতি এবং শিক্ষার্থীদের 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন'-এর ফলে দীর্ঘ দেড় মাস যাবত বন্ধ রয়েছে শ্রেণি পাঠদান ও পরীক্ষার কার্যক্রম। যার ফলে সেশনজটসহ নানারকম সমস্যার শঙ্কায় আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থী নূমান আহমাদ চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে জানান, এমনিতেই করোনা মহামারির ফলে আমাদের সেশন অনেকটাই দেরিতে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেছি। সেটা কাটিয়ে উঠার আগেই এখন আবার শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতি দ্রুত হলে সিট বরাদ্দ দেন এবং নতুন উপাচার্য নিয়োগের জন্যে ব্যবস্থা তরান্বিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ সেশনের একাধিক শিক্ষার্থী বার্তা২৪.কমকে জানান, আমাদের সেশনের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর যখনই শ্রেণি-পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা তখনই শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের ত্রিমুখী আন্দোলনে সবকিছু থমকে যায়। আমরা এখনো ক্লাস করতে পারিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন চালু করতে আমরা দ্রুত ক্লাসে বসতে চাই।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে সারাদেশে আজ থেকে পাবলিক-প্রাইভেট ভার্সিটিসহ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু হবে শ্রেণি কার্যক্রম।

এ সম্পর্কিত আরও খবর