রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি (আরইউডিএস)’কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ বিতার্কিকরা। এসময় তারা আরইউডিএস এর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তোলে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তারা।
এছাড়া দেশের এই সময়ে যুক্তি চর্চাকে শানিত করতে সাধারণ বিতার্কিকেরা আরইউডিএস’র কক্ষে অবস্থান করে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরইউডিএসের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে বিতার্কিকরা বলেন, স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নিয়ে দীর্ঘ পনেরো থেকে বিশ বছর যাবত ড. মো. হাসিবুল আলম প্রধানকে সভাপতি করে তার অনুগত কতিপয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে নামমাত্র কমিটি প্রদান করে রুম দখল করে রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন হয়েও গত পনেরো বছরে নবীন বিতার্কিক গ্রহণের কোনো কার্যক্রম প্রদর্শন করতে পারেনি। রাকসু ভবনে সংগঠনটি রুম দখল করে তালাবদ্ধ করে রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল বিতার্কিকদের বিতর্ক শেখার কোনো নির্দিষ্ট রুম দিতে পারেনি।
এছাড়া সংগঠনটি আর্থিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বিহীন সকল স্তরে একটি স্বেচ্ছাচারী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বিগতদিনে সাধারণ বিতার্কিকদের সাথে কোনোরূপ যোগাযোগ করেনি এমনকি আন্তঃহল, আন্তঃবিভাগ, আন্তঃক্লাব, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। দেশের এমন সংকটকালীন সময়ে বিতার্কিকদের মেধা, মনন, যুক্তির চর্চার যেকোনো বহিঃপ্রকাশ এই সংগঠন দেখাতে সম্পর্ণরূপে ব্যর্থ।
সংবাদ সম্মেলনটি সাধারণ বিতার্কিকদের পক্ষে করা হলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল তিনটি বিতর্ক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষর দেখা যায়। এর মধ্যে ‘রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং অরগানাইজেশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান, ‘রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ফোরামের প্রধান নির্বাহী মাহাদী হাসান মাহিন এবং ‘রাজশাহী ইউনিভার্সিটি গ্রুপ অব লিবারেল ডিবেটার্স বাংলাদেশের (গোল্ড বাংলাদেশ) সাধারণ সম্পাদক আবু হাসানাত আব্দুল্লার স্বাক্ষর দেখা গেছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিতার্কিকরা বলেন, আমরা আজকে কোনো সংগঠনকে উপস্থাপন করছিনা। আমরা এখানে এসেছি বিতার্কিকদের স্বার্থে। আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে ফ্যাসিস্ট রিজিমের মধ্যে সুস্পষ্ট বৈষম্যের শিকার হয়েছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমরা বৈষম্য নিয়ে নানা কথা তুলেছি। সেই জায়গা থেকে মনে করছি, বিপ্লব পরবর্তী সময়ে আমাদের আরেকটি কথা বলার জায়গা তৈরি হয়েছে। তাই সাংগঠনিক পরিচয়ে না এসে এখানে সাধারণ বিতার্কিক হিসেবে উপস্থিত হয়েছি।