দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) নেতৃত্ব উন্নয়ন সংসদের উপদেষ্টা প্রফেসর মোহাম্মদ সিদ্দিক হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এসএমডি জিদান এর যৌথ উদ্যোগে নিউক্লিয়াস পার্টি' (Nucleus Party of Bangladesh - NPB) নামক নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এ দল আত্মপরিচয় দিয়ে গঠিত হয়।
এ সময় দলটির নেতৃবৃন্দ জানান, প্রতিবেশী দেশ কিভাবে আন্তর্জাতিক নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে প্রতিবছর বাংলার মানুষের ব্যাপক জান-মালের ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে; যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান আমাদেরকেই করতে হবে। আমরা আর পানিতে ডুবে মরতে চাই না।
উন্নয়নের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষ এর জীবনের নিরাপত্তা বিধান করা। যে উন্নয়ন মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারে না, সেটি উন্নয়ন নয়। উন্নয়নের নামে বোকা বানিয়ে জনগনকে শোষণ করে আসছে সকল সরকার। তাই এখন থেকে আমরা সচেতন থাকবো এবং নিজেদের অধিকার আদাযয়ে ঐক্যবদ্ধ হবো।
নিজেদের দক্ষতা এবং প্রজ্ঞার মাধ্যমে দেশ ও জাতির জীবন রক্ষার্থে পরিকল্পনা করে উন্নয়ন প্রকল্প অব্যাহত রাখব। এই মুহূর্তে বন্যা দুর্গতদের পাশে আমরা দাঁড়িয়েছি, আপনারাও দাঁড়ান এবং আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছি সবাই যার যার অবস্থান থেকে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ান।
সুশিক্ষা এবং কূটনৈতিক দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি বিনির্মাণের লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুপরিকল্পিতভাবে সংস্কার ও উন্নত করে বাংলাদেশের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলে বিশ্বায়নে টিকে থাকার মতো নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সুসংহত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অভাবে প্রকৃত জাতিসত্তা তৈরি করা অনবরত ব্যাহত হচ্ছে, যার কারণে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আজও অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে। যা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এ কারণেই দেশের অভ্যন্তরীণ জাতিগত ভেদাভেদ ভুলে ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৬ এর শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ এর ছয় দফা, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের কথা স্মরণে রেখে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন ও সার্বিক উন্নয়ন সাধন করতে হবে বাংলার প্রতিটি মানুষের জন্য। আর এই অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যই বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের সাথে আমাদের যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধার সাথে কথা বলতে হবে। কারণ আপনি আমি সকলে মিলেই বাংলাদেশ। সকলের যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে ভালোবেসে নিজেদের সম্মান ও আত্মমর্যাদা রক্ষা করে সঠিক উপায়ে বিচক্ষণতার সাথে কাজ করে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি আনা সম্ভব। আর এ কারণেই বাংলাদেশে আমাদের কারো প্রতিদ্বন্দ্বী নই, বরং আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের সহযোগী, সহযোদ্ধা।
তাই সঠিক ও সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের তিনটি শাখা পরিচালনা করে দেশের অভ্যন্তরীণ সকল ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করে আমরা জনগণের হাতে রাষ্ট্রের প্রকৃত ক্ষমতা অর্পণ করব। যাতে করে দেশের প্রতিটি নাগরিক রাষ্ট্রীয় প্রত্যক্ষ সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। আর এ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রয়োজন জনগণের জন্য জনগণের দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান। এ কারণে আমরা বিশ্ব শান্তি, জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল গঠনে একমত হয়েছি। আমরা দলটিকে এমনভাবে গড়ে তুলার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি যে, এই দলটি জাতির বিবেক ও পাহারাদার হয়ে জনগণের দেশ জনগণের হাতে রেখে সকল আইন ও শাসন ব্যবস্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে এবং অন্যদের সহযোগিতা করবে যাতে করে দেশ সর্বদা জনগণের হাতে থাকে ও সুষ্ঠুভাবে শাসিত হয়। নিউক্লিয়াস পার্টি হবে ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠার ধারক বাহক।
দলটির মূলনীতি হলো, বৈষম্যমুক্ত এবং নিরাপদ বসবাসযোগ্য রাষ্ট্র বিনির্মাণ। অর্থাৎ এমন একটি দেশ গড়ে তোলা হবে, যেখানে প্রতিটি মানুষ সমানভাবে জীবন যাপন করতে পারবে, থাকবে না কোনো বৈষম্য, থাকবে না কোনো আহাজারি, থাকবেনা কোনো জুলুম, অত্যাচার ও নিপীড়ন, থাকবে শুধু শান্তি, শৃঙ্খলা আর হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা।