ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ঢাকাবাসীর কাছ থেকে 'গণত্রাণ কর্মসূচি' ব্যানারে সারাদেশের বন্যার্ত মানুষের জন্য ৩য় দিনের মতো নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় সহযোগীতা সংগ্রহ করেছেন।
গতকাল ২য় দিন এক কোটিরও অধিক নগদ টাকা সাহায্য এসেছে। এ কর্মসূচি প্রতিদিন রাত ৮টা পর্যন্ত চলমান থাকে। তারপর সারা রাত চলে খাবার প্যাকেজিং ও পাঠানোর কার্যক্রম। তবে, রান্নার জন্যে মসলা এবং শিশুখাদ্য ও লাইফ জ্যাকেট এর ঘাটতি থাকায় শিক্ষার্থীরা এসব আনার জন্যে আহ্বান জানিয়েছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) ঢাবির টিএসসিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রাইভেট কার, সিএনজি, রিকশা, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে মানুষ তাদের নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা নিয়ে টিএসসিতে উপস্থিত হয়েছেন। কেউ কেউ নগদ অর্থ দান করছেন শিক্ষার্থীদের কাছে।
বন্যার্তদের জন্যে অনুদান করতে বিশ্রাম বিহীন কাজ করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকার নানা প্রান্ত থেকে মানুষ যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করছেন। নগদ টাকা ছাড়াও মানুষ বানভাসি মানুষের জন্যে আনছেন প্রয়োজনীয় পোশাক সামগ্রী, শুকনো খাবার মুড়ি-চিড়া, খই, চিনি-লবন, ঐষধ সামগ্রী যেমন খাওয়ার স্যালাইন, প্যারাসিটামল, স্যানিটারি ন্যাপকিন, উদ্ধার সামগ্রী যেমন লাইফ জ্যাকেট, মোটা দড়ি ইত্যাদি। সেচ্ছাসেবকরা সাহায্য সামগ্রীগুলোকে বন্যা আক্রান্ত অঞ্চলে পাঠানোর জন্যে প্রস্তুত করছেন।
টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের কাছে সাহায্য সামগ্রী নিয়ে আসেন মাশরাফি ইসলাম। তিনি বলেন, সবাই অনেক কিছুই আনছেন। আমি কিছু পানিবাহিত রোগের ঐষধ নিয়ে এসেছি। বাচ্চাদের জন্যে কিছু গুড়ো দুধ নিয়ে এসেছি। ঐষধ, লাইফজ্যাকেট ও শিশু খাদ্যের আরও দরকার রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহান ওয়ারিক বার্তা ২৪.কমকে জানান, দিনব্যাপী অবিরত এ গণত্রাণ কর্মসূচি চলছে। মানুষ পোষাক থেকে শুরু করে খাবার পানিও নিয়ে আসছে। তবে শিশুদের জন্যে সুজি বা অন্যান্য খাবারের ঘাটতি রয়েছে। রান্না কার্যক্রম চালানোর জন্যে মসলা ও তৈল এর ঘাটতি রয়েছে। আপনারা যারা ত্রাণ আনবেন এদিকে খেয়াল রাখবেন।