ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঢাকাবাসীর কাছ থেকে 'গণত্রাণ কর্মসূচি' ব্যানারে সারাদেশের মানুষের জন্যে ৪র্থ দিনের মতো নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় সহযোগীতা সংগ্রহ করেছেন। গতকাল ৩য় দিন ত্রাণ সামগ্রীতে টিএসসিতে ফাঁকা স্থানের স্বল্পতা দেখা দেয়ায় আজ টিএসসিতে শুধু মাত্র নগদ টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করা হচ্ছে ঢাবির শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে (ঢাবির কেন্দ্রীয় মাঠ সংলগ্ন)।
রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাবির টিএসসি ও শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
গতকাল রাত ১১টার হিসেব অনুযায়ী দুই কোটি ২৫ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪৭০ টাকা ও অধিক নগদ টাকা সাহায্য এসেছে। এ কর্মসূচি প্রতিদিন রাত ৮টা পর্যন্ত চলমান থাকে। তারপর সারা রাত চলে খাবার প্যাকেটিং ও পাঠানোর কার্যক্রম। তবে, রান্নার জন্যে মসলা এবং শিশুখাদ্য ও লাইফজ্যাকেট এর ঘাটতি থাকায় শিক্ষার্থীরা এসব আনার জন্যে আহ্বান জানিয়েছে।
দেখা যায়, প্রাইভেট কার, সিএনজি, রিকশা, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে মানুষ তাদের নিজ নিজ সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা নিয়ে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন। কেউ কেউ টিএসসিতে নগদ অর্থ দান করছেন শিক্ষার্থীদের কাছে।
বন্যার্তদের জন্যে অনুদান করতে বিশ্রাম বিহীন কাজ করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকার নানা প্রান্ত থেকে মানুষ যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করছেন। নগদ টাকা ছাড়াও মানুষ বানভাসি মানুষের জন্যে আনছেন প্রয়োজনীয় পোশাক সামগ্রী, শুকনো খাবার মুড়ি-চিড়া, খই, চিনি-লবণ, ঐষধ সামগ্রী যেমন খাওয়ার স্যালাইন, প্যারাসিটামল, স্যানিটারি ন্যাপকিন, উদ্ধার সামগ্রী যেমন লাইফ জ্যাকেট, মোটা দড়ি ইত্যাদি। সেচ্ছাসেবকরা সাহায্য সামগ্রীগুলোকে বন্যা আক্রান্ত অঞ্চলে পাঠানোর জন্যে প্রস্তুত করছেন।
শিক্ষার্থীদের কাছে সাহায্য সামগ্রী নিয়ে উত্তরা থেকে ঢাবির শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে আসেন মো. আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, আমি কিছু ঐষধসামগ্রী, বাচ্চাদের ডায়াপার ও শিশু খাদ্য নিয়ে এসেছি। যতটুকু পেরেছি আজকে দিয়ে গেলাম, আরও আনার চেষ্টা করবো।
এছাড়াও টিএসসিতে দেখা যায় শিশুথেকে বৃদ্ধ মানুষের নগদ টাকা সাহায্য দেয়ার দৃশ্য। তারা সকলেই জানান, দেশের একাংশের এই ক্রান্তিলগ্নে সারা দেশ একসাথে লড়াই করবে। তাই সকলেই অবদান রাখার চেষ্টা করছি।