চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে বন্যা কবলিত মানুষদেরকে চিকিৎসা সেবার আওতায় আনতে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যরা। এখনও পর্যন্ত তারা ১১ হাজার ২'শ ৩৮ জন মানুষকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও মিডিয়া উইং এর সদস্য তাহমিদ আল মুদাচ্ছির।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে শুরুতেই ফেনীতে একটি ফিল্ড হাসপাতাল গঠন করা হয়েছে । সেখানে ২৪টি মেডিকেল টিম আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করছে। নোয়াখালীতে ১০টি টিম, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামসহ কয়েকটি অঞ্চলে ৮টি টিম কাজ করছে। গতকাল লক্ষ্মীপুর অঞ্চলে ২২ জনের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি টিম দল ও উপদলে ভাগ হয়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৭৫ জন ডাক্তার এই মেডিকেল টিমের আওতায় থেকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
তাহমিদ আল মুদাচ্ছির বলেন, বন্যার শুরু থেকে আমরা স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের মেডিকেল টিমগুলো ফেনীতে চিকিৎসা ব্যবস্থাইয় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। শুধুমাত্র সেখানেই আমরা ফিল্ড হাসপাতাল গঠন করতে পেরেছি। সেখানে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষকে আমরা চিকিৎসা সেবার আওতায় আনতে পেরেছি। এছাড়াও কুমিল্লা ,নোয়াখালীতে আমাদের টিম কাজ করছে। বান্দরবানে একটি টিম যাবে কিছুদিনের মধ্যেই কারণ সেখানে পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এছাড়াও আরও মেডিকেল টিম গঠনের চিন্তা আছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তাহমিদ বলেন, কুমিল্লা এবং নোয়াখালীতে জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহায়তা না পাওয়ায় সেখানে ভালো ভাবে কাজ করতে পারছে না আমদের মেডিকেল টিম। তবে সকলের সহায়তায় ধীরে ধীরে সব অঞ্চলেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ফেনীর মতই হবে। গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচীতে যেসব ঔষধ মানুষ পাঠিয়েছিলেন সেগুলো কোনো সাধারণ মানুষদের মাধ্যমে পাঠানো হয়নি বরং মেডিকেল টিমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অঞ্চলগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
মেডিকেল উপ-কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল আরিয়ান বলেন, সাধারণ মানুষ যে পরিমাণে ঔষধ দান করেছে তা পর্যাপ্ত ছিলোনা বা একই জাতীয় ঔষধ বেশি হয়ে গিয়েছিলো। প্রয়োজনীয় ঔষধ পর্যাপ্ত ঔষধ না থাকায় বিভিন্ন ঔষধ শিল্পের সাথে যোগাযোগ করলে মোটামুটি ঔষধ পাওয়া গিয়েছে। অনেক ঔষধ শিল্প প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে সাহায্য করেছে।
এসময় তিনি সারাদেশে সকল বন্যাকবলিত মানুষদেরকে চিকিৎসা সেবার আওতায় আনতে আরও ঔষধ ডোনেট করার জন্য আহবান জানান।