ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মোহাম্মদ ইসমাইলের নিয়োগ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে জারি করার দাবিতে মানববন্ধন ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্য পাদদেশে আয়োজিত ব্যানারে এ মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে এপ্লাইড কেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী জাবির বলেন, অতি দ্রুত প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। অতীত ঘেঁটে দেখবেন নির্দলীয় কোনো ভিসি, প্রোভিসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেনি। তাহলে একজন অ্যাপলিটিক্যাল মানুষ যখন প্রোভিসি হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত হলেন তাকে কোন শক্তি আটকে দিল! কোন অদৃশ্য শক্তি তাকে আটকে দিল?
ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, বিগত দলীয় ভিসি, দলীয় শিক্ষক আমরা আর চাই না৷ ভিসিকে নিয়োগ দেয়ার সময়ও আমরা দেখেছি একটি মহল ব্যাপক মহড়া দিয়েছে এই মহড়া আর দিতে দেয়া চলবে না।
তিনি আরও বলেন, এক শিয়াল থেকে আরেক শিয়ালের হাতে আমরা আমাদের ভার্সিটিকে তুলে দিতে পারি না। ৯ দিন পরেও আজও তার প্রজ্ঞাপন হলো না কেন? অক্সফোর্ড থেকে জিনি পিএইচডি করেছন ৫৩টি জার্নালে যার গবেষনাপত্র আছে তাকেই উপ-উপাচার্য হিসাবে আমরা চাই।
এপ্লাইড কেমিস্ট্রির বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মাহির বলেন, ছাত্র-ছাত্রী সাক্ষী যে কেমন আন্তরিক মানুষ ইসমাইল স্যার। কোটা আন্দোলনের একেবারে শুরু থেকে এক দফা আন্দোলনের শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যে তোমাদের যদি কারো থাকার সমস্যা হয় তোমরা আমার এখানে থাকো। তোমাদের যত ধরনের সাহায্য সহযোগিতা লাগে আমি দিব। এমন নিবেদিত প্রাণ একজন শিক্ষককে বাদ দিয়ে কেন আজকে দলীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগের পায়তারা চলছে। জানতে চাই এই মুহূর্তে কেন আটকে রাখা হলো তার প্রজ্ঞাপ? আমাদের ভাই আবু সাঈদ আমাদের জন্য রক্ত দিয়েছে তারা কি এই যে রাজনীতি করার জন্য রক্ত দিয়েছে? রক্ত দিয়েছে হল থেকে আমরা যারা আন্দোলন করে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছি আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর যোগ্য ব্যক্তির হাতে যোগ্য দায়িত্ব দেখতে চাই।
প্রসঙ্গত, এ সময় তারা লবিং না মেধা? মেধা মেধা প্রোভিসির প্রজ্ঞাপন দিতে হবে, দিয়ে দাও এরূপ নানা স্লোগান দিতে থাকে।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি নিয়ে সচিবালয়ের দিকে রওনা হন শিক্ষার্থীরা।