রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) মাইক্রোবায়োলজি এন্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শেকৃবির শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বেলা ৩ টায় শিক্ষার্থীর সমন্বিত হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় তাদের মুখে, ' ষড়যন্ত্রকারীর অভিযোগ মানি না মানব না, মিথ্যা অভিযোগ মানি না মানব না, ষড়যন্ত্রকারীর কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও ' ইত্যাদি স্লোগান শোনা যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জাহিদ জানান, যখন ছাত্রদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছিলো তখন শুরুর দিকে শেকৃবির কোন শিক্ষক এগিয়ে আসেন নাই। সেই সময় শহীদ আবু সাইদের পোস্ট শেয়ার দিয়ে শেকৃবির শিক্ষকদের মধ্যে প্রথম যিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি হচ্ছেন কামরুল স্যার। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যে কোন অন্যায় অবিচার হলে কামরুল সবার আগে ছাত্রদের পাশে দাড়ান। আমরা এই মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং কোন অপশক্তি যদি আবারও স্যারের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের কালো হাত ভেঙ্গে দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।
আরেক শিক্ষার্থী হাফিজুর রাহমান বলেন, 'আমাদের মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টর সহযোগী অধ্যাপক কামরুল হাসানের করা মিথ্যা চার্জশিট তুলে নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। কামরুল স্যার সব সময় যেকোন পরিস্থিতিতে আমাদের পাশে ছিলেন, আমরাও স্যারের পাশে রয়েছি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সহযোগী অধ্যাপক মোঃ কামরুল হাসান বলেন , যে হত্যা মামলায় আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, সেই ঘটনার সাথে আমি কোনভাবেই সম্পৃক্ত না। এমনকি সেই লোককে আমি চিনতামও না। আমি মামলার বাদী পক্ষের সাথেও দেখা করেছি,তারাও জানেন না আমার নাম কীভাবে আসলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আমার নাম দিয়েছে । প্রক্টর স্যারকে ইতোমধ্যে বিষয়টি জানিয়েছি। ক্যাম্পাসের কে বা কারা আমার নাম দিয়েছে সেটি খোজে বের করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
শেরেবাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল বলেন,আসলে এই মামলাটি এখনও এজাহারভুক্ত হয়নি। যদিও বাদী অভিযোগ নিয়ে এসেছিল তবে এখন আরেকটু সময় নিচ্ছে। যেহেতু এজাহারভুক্ত নয় তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় তবে আমরা বিষয়গুলো নিয়ে অবগত এবং অভিযোগ আসলে পুনর্বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।