ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু খায়ের। হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান খায়েরের মা হঠাৎ করে আক্রান্ত হন ব্রেস্ট ক্যান্সারে। ফলে কোনোমতে চালিয়ে যাওয়া ৫ সদস্যের সংসারে যেনো আকাশ ভেঙে পড়ে। মায়ের চিকিৎসার খরচ চালানোর মতো অর্থের যোগান দিতে না পেরে সমাজের বিত্তবানদের দ্বারস্থ হয়েছেন খায়েরের পরিবার। সকলের সহযোগিতায় মায়ের জীবন বাঁচাতে চান খায়ের।
প্রয়োজন তো ৫ লক্ষ টাকা! তবে আপনার এক টাকাই ঘুরাতে পারে তার মায়ের জীবনের চাকা। কথায় আছে - ‘দশের লাঠি একের বোঝা’ ঠিক আপনার দুই টাকাই পারে অন্যের জীবন বাঁচাতে।
এখন প্রশ্ন- সেই মুহূর্তে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে কিভাবে পাশে দাঁড়াব? সাতপাঁচ না ভেবে নতুন আঙ্গিকে হাজির হন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যতিক্রমী কন্টেন্ট ক্রিয়েটর (কনটেন্ট লাগবে?) পরিবার। তাদের একমাত্র সম্বল ডিএসএলআর ক্যামেরা। আবু খায়ের এর আকুতি শুনে বসে থাকতে পারেনি সে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছে ভিন্ন আঙ্গিকে। আসুন একটা ছবি তুলুন, বিনিময়ে এক টাকা দিন। অর্জিত টাকাগুলো যাবে আবু খায়ের এর মা-কে বাঁচাতে।
আবু খায়ের জানান, আবু খায়েরের মা মোছা.সুফিয়া খাতুন গত ৭ মাস ধরে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত। বর্তমানে তিনি ঢাকার এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখন রেডিয়েশন, কেমোথেরাপি প্রয়োগ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোধ ও নিয়মিত ওষুধ গ্রহণের জন্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকার প্রয়োজন।
এর আগে পারিবারিক সম্পত্তি বর্গা রেখে চিকিৎসা খরচ যোগান দিয়ে এখন নিঃস্ব পরিবারটি। সঠিক সময়ে কেমোথেরাপি দিলেই কেবল সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার মায়ের। তবে আর্থিক সংকটে আটকে আছে তার মায়ের চিকিৎসা। এসময় তার মায়ের জীবন বাঁচানোর জন্য সকলকে পাশে দাঁড়ানোর আকুতি জানান তিনি।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর টিমের সদস্যরা বলেন, আমরা সাধারণত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিনোদনমূলক কন্টেন্ট তৈরি করি৷ কিন্তু আমরা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থে কাজ না করে সামাজিক ও নৈতিক কাজ করার চেষ্টা করছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খায়ের এর মা ক্যান্সার আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা দরকার যা তার পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। এটি শোনার পর মনে হলো সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তার জন্য যেটুকু সম্ভব কাজ করা উচিত। এরই প্রেক্ষিতে মানুষকে ছবি তুলে দিয়ে, ছবি প্রতি অর্জিত অর্থ সম্পূর্ণটুকু খায়েরের মায়ের চিকিৎসা খরচের জন্য দিয়ে দিবো। আমাদের টিমের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রোগীর জন্য অন্তত ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে দিতে পারবো বলে আশাবাদী।
সাহায্য পাঠানোর মাধ্যম
আবু খায়ের: ০১৭১৯৬৫৬৩৬৫ (বিকাশ/নগদ)
অগ্রণী ব্যাংক,
নাম: আবু খায়ের
এ/সি নং:০২০০০১৮৪৯৮৫৭৭
শাখা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।