ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত কমিউনিকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের চতুর্থ তলায় বিভাগীয় সভাপতির কক্ষে এই দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও সদ্য সাবেক সভাপতিকে ক্রেস্ট দিয়ে বিদায়ী সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বিভাগের প্রভাষক তন্ময় সাহা জয়ের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন- সদ্য সাবেক সভাপতি ও সাবেক ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. নজিবুল হক, অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি কাজী মোস্তফা আরিফ, অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শিদ, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশেদুজ্জামান, জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ জাকির হোসেন, জার্নালিজম বিভাগের প্রভাষক উজ্জ্বল হোসেন এবং শিক্ষার্থীরা।
নবনিযুক্ত সভাপতি ড. রশিদুজ্জামান বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে যার যার জায়গা থেকে নিজ দায়িত্ব গুলো যথাযথভাবে পালন করা। আপনাদের সকলের কথা শুনে প্রত্যাশার কথা দেখে আমি বুঝতে পেরেছি যে আমাকে ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া, চিন্তা ভাবনাকে পেরিয়ে আরো অনেক দূর যেতে হবে। এই বিভাগে ইতোমধ্যেই একাডেমিক বিষয়ে চমৎকার ও সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিবেশ আছে, যা অনেক বড় বড় বিভাগেও নেই। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আলমগীর স্যার বিভাগকে একটি পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরেছেন। আমি চেষ্টা করবো বিভাগকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে, যেখান থেকে আমাদের শিক্ষার্থীরা আত্মতৃপ্তি নিয়ে, ভালোবাসা নিয়ে বেরিয়ে যাবে, কর্মক্ষেত্রে সফলতার স্বাক্ষর রাখবে এবং তাদের মধ্য দিয়েই আমরা বেঁচে থাকবো।
অনুষ্ঠানের সদ্য সাবেক সভাপতি ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তৎকালীন উপাচার্যের অনুরোধে অনেকটা বাধ্য হয়ে ট্রেজারারের অতিরিক্ত দায়িত্বে হিসেবে বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলাম। সমসাময়িক সময়ে চালু হওয়া অন্যান্য অনেক বিভাগের চেয়ে এই বিভাগকে অনেক দিক দিয়ে এগিয়ে নিতে পেরেছি৷ আমাদের নির্দিষ্ট ক্লাসরুম, সেমিনার লাইব্রেরি আছে, প্রতিটি রুমে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবস্থা করতে পেরেছি, শিক্ষা-কার্যক্রমেও একটা নির্দিষ্ট সিলেবাস, কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে। আশা করবো নতুন সভাপতি বিভাগকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন। বিভাগের উন্নয়নে যেকোনো সমস্যায় আমাকে পাশে পাবেন।