ফাগুনের আগুন লেগেছে খুবি ক্যাম্পাসে

বিবিধ, ক্যাম্পাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা ২৪.কম | 2023-08-28 04:00:56

'আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়' এভাবেই বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুগ্ধচিত্তে বসন্তের সৌন্দর্যের বর্ণনা করেছেন। ফাগুন হাওয়া, মৌমাছিদের গুঞ্জরণ, কোকিলের কুহুতানের সাথে সাথে ফাগুনের প্রথম দিন উদযাপন করছেন তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ।



বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলা পঞ্জিকায় ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। মাঘের শীতকে বিদায় জানিয়ে ফাগুন হাওয়া বইছে চারিদিকে। প্রকৃতি যেনো সেজেছে নবরূপে। বসন্তের আমেজে কোকিলের কুহুতানে যেন মন ভরে ওঠে। ফাগুনের ঝিরঝির হাওয়ায় দোল লেগেছে সর্বত্র। সে দোল লেগেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও। ক্যাম্পাসের চারিদিকে শিক্ষার্থীদের মনে লেগেছে বসন্তের ছোঁয়া। 



ফাগুনের আগুন লাগা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ক্যাম্পাসে মনের আনন্দের সাথে শিক্ষার্থীদের পোশাকেও লেগেছে বসন্তের রঙ। বাসন্তি রঙের শাড়ি পরে মেয়েরা বৈচিত্র্য এনেছেন সাজে। কেউ কেউ খোঁপায় গুজেছেন লাল, হলুদ আর বিভিন্ন রঙিন ফুলের তৈরি ব্যান্ড। ছেলেদের পাঞ্জাবি আর ফতুয়ায়ও শোভা পাচ্ছে বসন্তের আবহ। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসব মুখর পরিবেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত বরণ উৎসব হচ্ছে।



বাসন্তি সাজে সেজে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বসন্তকে বরণ করছে। খুবি বাংলা ডিসিপ্লিন পরিবারের উদ্যোগে বৈচিত্রময় নানা আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে বসন্তবরণ উৎসব শুরু হয়। 



ফাগুন বরণ উপলক্ষ্যে খুবিতে সকাল ৮টায় কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে বসন্তকে স্বাগত জানিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়। বসন্তের সাজে সজ্জিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দিয়ে কটকা স্মৃতিস্তম্ভ হয়ে অদম্য বাংলার সামনে এসে শেষ হয়।



পরে সেখানে ‘হাজার বছরের বাংলা কবিতা ও গান’ শীর্ষক দিনের প্রথমপর্বের বসন্ত বরণ উৎসব শুরু হয়। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে বসন্তকে স্বাগত জানাতে শিক্ষার্থীদের সাথে অংশগ্রহন করেন বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. রজিকুল ইসলাম,  প্রফেসর আবুল ফজলসহ অন্য শিক্ষকরা।

পরে হাজার বছরের বাংলা কবিতা ও গান পর্বের সূচনা হয়। এখানে চর্যাপদ থেকে শুরু করে মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের বাংলা ভাষার বিকাশ ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রময় কবিতা, গান ও নৃত্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয় বসন্তকে।

এছাড়াও বসন্ত কথনপর্ব, প্রীতি বন্ধনী বিনিময়, দলীয় সংগীত, আবৃত্তি, একক সংগীত পরিবেশনা ছাড়াও নৃত্য শিল্পীদের নৃত্য প্রদর্শনী ছিলো চোখে পড়ার মতো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর