মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ সিকৃবির শিক্ষার্থীরা

, ক্যাম্পাস

স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম | 2024-11-17 17:01:56

মশার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। দিন দিন বেড়েই চলেছে মশার প্রাদুর্ভাব। সন্ধ্যা নামতেই ক্যাম্পাসজুড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ছে মশা। মশার কারনে ক্যাম্পাসের কোথাও দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

আবাসিক হলের চারপাশে ময়লা, ক্যাম্পাসের ড্রেনের আবর্জনা, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারনে মশার উপদ্রব বাড়তে পারে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

তবে মশার উপদ্রব প্রকট আকারে দেখা দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, সিকৃবির আবাসিক হল গুলোর চারপাশ ময়লায় ভরে আছে। হলের পেছনে পড়ে আছে ডাইনিংয়ের উচ্ছিষ্ট। এছাড়া ড্রেনগুলো উন্মুক্ত ও ময়লা পানি জমে আছে কোথাও কোথাও। এতে মশার প্রজনন হার বৃদ্ধি অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক ছাত্র জুনায়েদ বলেন, কয়েকদিন ধরেই মশার প্রাদুর্ভাব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিকেল হলেই হলের চারপাশ মশায় ভরে যায়। রুমের এক পাশে কয়েল থাকলে অন্যাপাশে যারা আছে তাদের কামড়ায়। তাছাড়া কয়েলের ধোঁয়া রুমের সবার সহ্য হয় না। পরীক্ষা চলছে কিন্তু চেয়ারে বসে যে পড়ব, মশার যন্ত্রনায় সেটাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, হলের পিছনে দিকে ডাইনিংয়ের ময়লা ফেলা হয়। এছাড়াও ড্রেনের জমে থাকা পানির কারনে মশার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিনের বেলাতেও মশা কামড়াচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উচিত হলের চারপাশের পরিষ্কারের ব্যাবস্থা করা। এছাড়াও গতবছর ফগিং করা হলেও এবছর এখনো এমন কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

প্রিভেন্টিভ শাখায় দায়িত্বরত তাপস কুমার জানান, আমরা মশার প্রাদুর্ভাব কমাতে ড্রেন ও হলের আশপাশ পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছি। সিটি কর্পোরেশনের সাথে কথা বলে দ্রুতই ফগিং করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর