দীর্ঘ লাইন পেড়িয়ে ভোট, মুখে তৃপ্তির হাসি

বিবিধ, ক্যাম্পাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 12:26:09

দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেই কাঙ্ক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোটকেন্দ্রের সামনে তাই দীর্ঘ লাইন। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে অবশেষে ভোট প্রদান। তবে বিন্দুমাত্র ক্লান্তি নেই তাতে। এ যেন ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার এক ভিন্ন উদ্দীপনা। যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত করাই একমাত্র লক্ষ্য।

সরেজমিনে কয়েকটি হলে ঘুরে দেখা গেছে, সবগুলো হলের সামনেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। তীব্র রোদে অনেকে ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে ভোট দিতে অপেক্ষা করছেন। ভোট দিয়ে ভোটারদের বের হতে বেশ সময় লাগছে। তবে ভোট প্রদান শেষে সবার মুখেই ছিল তৃপ্তির হাসি।

সুফিয়া কামাল হলে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তরা চক্রবর্তী। ভোট দিয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছি। তবে ভোট দিয়ে ভালো লাগছে। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি তাই লাইন দীর্ঘ হচ্ছে।’ শিক্ষকরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ লাইন থাকবে, ততক্ষণ ভোট নেওয়া হবে।

জগন্নাথ হলের ভোটার রিপন কান্তি রয় বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম ভোট দেওয়ার জন্য। ভোট দিতে অনেক সময় লাগছে। তবে ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার স্বাদই আলাদা। তাই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতেও খাড়াপ লাগছে না।’

রোকেয়া হলের ভোটার অর্পনা মজুমদার বলেন, ‘ভোটের জন্য দীর্ঘ লাইন রয়েছে। তবে আমরা সুষ্ঠুভাবেই ভোট দিয়েছি।’ হলটির প্রাধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ভোটের শেষ সময় পর্যন্ত যতো ভোটার থাকবে, সবার ভোটই নেওয়া হবে, প্রয়োজনে সময় বাড়ানো হবে।

সুফিয়া কামাল হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা টুম্পা সমদ্দার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছে। সবার স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণে ভোটকেন্দ্রের সামনে দীর্ঘ লাইন রয়েছে। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে যত ভোটার থাকবে, তারা সবাই ভোট দিতে পারবেন।’

এদিকে রোকেয়া হলে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর ভোট শুরু হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র জোট মনোনীত কেন্দ্রী স্বাধীনতা-সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী শ্রবণা শফিক দীপ্তি।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর ভোট শুরু হয়েছে। আর ৯টি ব্যালট বাক্সে ভোট নেওয়ার কথা থাকলেও ভোট নেওয়া হচ্ছে ছয়টি বাক্সে। বাকি ব্যালট বাক্স কোথায় তা আমরা জানি না। ফলে ভোটারদের দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর