যে কারণে গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন

বিবিধ, ক্যাম্পাস

সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 21:04:12

ইঞ্জিনিয়ারিং মানে হচ্ছে প্রকৌশলের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করা। আর যিনি এ কাজটি করেন তিনিই হচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ার বা প্রকৌশলী। এক সময় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ছিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। পরবর্তীতে দেশজুড়ে যত পোশাক কারখানা তৈরি হতে থাকল, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাহিদা বাড়তে থাকল। তবে যে কোনো শিল্প বা প্রযুক্তিই হোক না কেন, বিদ্যুৎ ছাড়া কাজ চালানো মুশকিল। তাই প্রয়োজন হল ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের। আর সবকিছুকে এক সুতোয় গাঁথতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা তো দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। দেশে বিদেশে কল কারখানা বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রকৌশলীর চাহিদাও।

ইঞ্জিনিয়ারিং কেন পড়বেন

বিশ্বায়নের এই যুগে ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার গুরুত্ব। নিশ্চিত কর্মসংস্থানের একমাত্র এবং পরীক্ষিত মাধ্যম হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা। সারা বিশ্বে জেনারেল শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষা বেশি জনপ্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ।

কোথায় পড়বেন

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য বাংলাদেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে। যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি করেছে, এর অন্যতম গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। বর্তমানে রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় এবং পূর্বাচলের স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম।
গ্র্যাজুয়েটদের দক্ষ ও যোগ্য করে তোলার পাশাপাশি তাদেরকে চাকরির উপযোগী করে তোলাই গ্রিন ইউনিভার্সিটির উদ্দেশ্য। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আটটি প্রোগ্রামের মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত তিনটি বিভাগ রয়েছে। এগুলো হলো- কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং।

আইইবি স্বীকৃতি

বাংলাদেশে যতগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, এর মধ্যে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের ‘সিএসই’ ও ‘ইইই’ বিভাগ ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) স্বীকৃতির আওতাভুক্ত। এর মধ্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অন্যতম। আইইবি কর্তৃক অ্যাক্রেডিটেশন পেয়েছে এখানকার দুটি বিভাগ। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আইইবি প্রাপ্তির বিষয়টি।

এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বা চাকরির জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচিত হবেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

কোন বিভাগ কেমন

বেশ কয়েকজন প্রফেসরসহ যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর (পূর্ণকালীন) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এই বিভাগ। রয়েছে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি সজ্জিত এনালগ ও ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক্স ল্যাব। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ল্যাব, মাইক্রোপ্রসেসর ল্যাব, মাইক্রোকন্ট্রোলার ল্যাব, সফটওয়্যার শিক্ষার নিমিত্তে সর্বশেষ মডেল বা কনফিগারেশন সমৃদ্ধ কম্পিউটার এবং উইন্ডোজ নির্ভর ও লিনাক্র বা ইউনিক্র ভিত্তিক ল্যাব।

এছাড়া রয়েছে ফিজিক্স ল্যাব, কেমিস্ট্রি ল্যাব, ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক্স ল্যাব, ইলেক্ট্রিক্যাল মেশিনস ল্যাব, মাইক্রোপ্রসেসর অ্যান্ড ইন্টারফেসিং ল্যাব, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইলেক্ট্রনিক্স ল্যাব, কন্ট্রোল সিস্টেম ল্যাব, ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসিং ল্যাব এবং মাইক্রোওয়েবসহ প্রায় ২০টি ল্যাবরেটরি।

সম্প্রতি উন্নত কারিকুলাম ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করায় ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্সের (আইকিউএসি) পিয়ার রিভিউ টিম কর্তৃক প্রথম শ্রেণির সার্টিফিকেট পেয়েছে এই বিভাগ। চীনের উহান টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটি এবং বেইজিং ল্যাংগুয়েজ অ্যান্ড কালচারাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান দুটিতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল বিভাগের নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী। এর বাইরেও কানাডা, মালয়েশিয়া, ভারতসহ বিশ্বের নামকরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানের চুক্তি রয়েছে। সেখানেও পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন এই বিভাগের অনেক শিক্ষার্থী।

গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির জানান, মানসম্মত শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য করে তোলাই গ্রিন ইউনিভার্সিটির উদ্দেশ্য। এ লক্ষ্যে উন্নত ভৌত-কাঠামো ও পরিবেশ, অত্যাধুনিক ল্যাব এবং উচ্চতর ডিগ্রিধারী অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকদের সমন্বয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান পরিচালিত হচ্ছে।’

ভর্তির জন্য যোগাযোগ করা যাবে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ২২০/ডি বেগম রোকেয়া সরণী, ঢাকা-১২০৭। ফোন: ০১৭৫৭০৭৪৩০১-৪, ০১৭১৩ ২৮৯২১৭ ওয়েব: www.green.edu.bd স্থায়ী ক্যাম্পাস: পূর্বাচল আমেরিকান সিটি, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। ফোন: ০১৭১৩ ২৮৯২১৭, ০১৭৬৪ ১৯৩৩৯৬।

এ সম্পর্কিত আরও খবর