শাবিপ্রবির সংকট নিরসনে ছাত্রফ্রন্টের ১১ দফা

বিবিধ, ক্যাম্পাস

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 02:35:51

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বিভিন্ন সংকট নিরসনে ১১ দফা দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য মাসব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচিও শুরু করেছে সংগঠনটি।

রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে শাবিপ্রবি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব জানান শাখা ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিয়া।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের বেতন ফি বৃদ্ধি করা হচ্ছে, ১০ হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে আড়াই হাজার শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া আদায়ের অন্যতম একটি মাধ্যম শাকসু অনেক দিন ধরে অচল, অনিরাপদ ভাড়া বাস দিয়ে যাতায়াত করা হচ্ছে প্রভৃতি বিষয় সমাধান করা প্রয়োজন। আমরা র্দীঘদিন থেকে এসব সমস্যা সমাধানের কথা বলে আসছি। কিন্তু কিছু বাস্তবায়ন হলেও বেশির ভাগ দাবিই বাস্তবায়ন করা হয়নি।

এই সমস্যাগুলো যাতে দ্রুত সমাধান করা হয়, সেজন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে তা উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কাছে জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে-
অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি ও ব্যয় সংকোচনের নামে দফায় দফায় বেতন ফি বৃদ্ধিসহ নানাভাবে ছাত্র অধিকার হরণ করা চলবে না। ইউজিসি’র ‘২০ বছর মেয়াদী উচ্চশিক্ষার কৌশলপত্র’ বাতিল করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিত করা। উচ্চ শিক্ষা কমিশন বাতিল করা। প্রথম বর্ষ থেকে সকল শিক্ষার্থীর বৈধ আবাসন নিশ্চিত কর। ক্যাম্পাসের বাহিরে ভাড়ায় পরিচালিত হলের পরিবর্তে নিজস্ব ক্যাম্পাসে নতুন হল নির্মাণ করে ছাত্রীদের পূর্ণাঙ্গ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। ভাড়ায় চালিত বাসের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে নতুন বাস ক্রয় করা। বাসের রুট ও ট্রিপ সংখ্যা বৃদ্ধি করা। লাইব্রেরি ও সেমিনার পর্যাপ্ত বইয়ের ব্যবস্থা করা। প্রত্যেক বিভাগে নিজস্ব ল্যাব ও সেমিনার রুম চালু করা। পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ করা। ক্লাসরুম সংকট নিরসন করা এবং শিক্ষা গবেষণা ও ছাত্র কল্যাণ বরাদ্দ বাড়ানো। দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাস করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা এবং মানোন্নয়ন পদ্ধতি চালু করা। ডাইনিং, ক্যান্টিন ও ক্যাম্পাস ক্যাফেটেরিয়ার ভর্তুকি বাড়ানো এবং খাবারের মান বৃদ্ধি ও দাম কমানো। সার্বক্ষণিক চিকিৎসক নিয়োগ ও উন্নত ওষুধ সরবরাহ করে মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন করে নূন্যতম ২০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপান্তর করা। সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণ করে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা। সকল ভবনের প্রস্তাবিত নামকরণ কার্যকর করা এবং গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাষ্কর্য নির্মাণ করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি নাজিরুল আজম বিশ্বাস, সহ-সভাপতি তৌহীদুজ্জামান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসা রশীদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক স্বপ্নীল দাশ প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর