ছাত্রলীগের প্রতি ঢাবি প্রশাসনের অনৈতিক সমর্থন স্পষ্ট: ভিপি নুর

বিবিধ, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 06:38:42

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত সদস্যদের বাইরে থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজোয়ানুল হক চেীধুরী শোভন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসকে বিশ্ববিদ্যালয়টির সিনেটে ছাত্রপ্রতিনিধি মনোনীত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর।

ভিপি নুরের অভিযোগ, তার সাথে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক আলোচনা ছাড়াই অনির্বাচিত শোভন ও সনজিতকে প্রতিনিধি মনোনীত করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের প্রতি প্রশাসনের অনৈতিক সমর্থন শিক্ষার্থীদের কাছে আরও স্পষ্ট হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জনু) সিনেটে ছাত্রপ্রতিনিধি হিসেবে পাঁচ জনের নাম চুড়ান্ত করা হয়। এতে পাঁচজন সিনেট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, জিএস গোলাম রাব্বানী, সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস।

অনির্বাচিত দুইজনকে ঢাবির সিনেটে ছাত্রপ্রতিনিধি মনোনীত করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে।

১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের ২০ (ঠ) ধারায় বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) মনোনীত শিক্ষার্থীদের পাঁচজন প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের সদস্য হবেন। তবে সেক্ষেত্রে ডাকসুতে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে।

ভিপি নুরুল হক নুর বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ডাকসু থেকে পাঁচজন সিনেট সদস্য মনোনয়ন প্রসঙ্গে ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে ডাকসুতে কোনো আলোচনা হয়নি।’

ডাকসু থেকে কিভাবে পাঁচজন সদস্য মনোনীত হবে ডাকসুর গঠনতন্ত্রে তার কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকলেও বিগত ডাকসুর কার্যক্রম পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ভিপি-জিএস অন্যদের সাথে আলোচনা করে পাঁচজন সদস্যের নাম চূড়ান্ত করেন।

নুর বলেন, ‘ডাকসুর গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট বলা আছে, ভিপি সংসদের প্রধান নির্বাহী। অথচ ডাকসুর সদস্যদের সাথে কোনো ধরণের আলোচনা না করেই এমনকি ভিপির সম্মতি ও স্বাক্ষর ছাড়াই জিএস নিজের পছন্দ মাফিক ডাকসুর নির্বাচিত সদস্য নয় এমন দুই জনসহ পাঁচজনের নাম উপাচার্য বরাবর পাঠিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘উপাচার্য স্যারকে বিষয়টি অবহিত করার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক এমন একটি বিতর্কিত প্রস্তাব গৃহীত হওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি ও নীতিবর্হিভূত। এর মধ্য দিয়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ছাত্রলীগের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনৈতিক সমর্থনের বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে আরও স্পষ্ট হয়েছে।’

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিনেট সদস্যদের কথা জানতে পেরেছেন দাবি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডাকসুর সমাজকল্যাণ সম্পাদক আকতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার জানতে পারলাম অনির্বাচিত দুজনসহ পাঁচজন সিনেট সদস্য মনোনীত হয়েছেন। তাহলে আমি কে? ডাকসুর সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আমি জানিনা কেন?’

এ সম্পর্কিত আরও খবর