প্রায় দেড় বছর ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেইন গেট নেই। সংস্কারের নামে খুলে রাখলেও সংস্কার করে আর লাগানো হয়নি।
জানা যায়, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদকে অপসারণের ঘটনায় ছাত্রধর্মঘট পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা জবির মেইন গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীরা যেন তালা লাগাতে না পারে সে কারণে মেইন গেট খুলে নেয় জবি প্রশাসন। যদিও প্রশাসন বলছে সংস্কারের জন্য খুলে রাখা হয়েছে গেটটি।
এদিকে, গেট না থাকায় যখন তখন যে কেউ অবাধে প্রবেশ করতে পারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। বহিরাগত অনেকে আবার মটর বাইক নিয়ে প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইদানীং ক্যাম্পাসে যখন তখন চুরি, ছিনতাই ও মাদক সেবনের ঘটনা ঘটছে। মেইন গেইট না থাকায় যে কেউ প্রবেশ করছে ফলে ছিনতাইকারী ও মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে জবি ক্যাম্পাস।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুরান ঢাকায় অবস্থিত হওয়ায় এখানে অনেক ধরণের মানুষ দেখা যায়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর নানা ধরনের মানুষের পদচারণা দেখা যায়। গেট না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়েছে ছিনতাই ও মাদকসেবনের ঘটনা। আমি অতি দ্রুত প্রশাসনের কাছে গেট পুনঃস্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সুকুমার চন্দ্র সাহাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমরা যেহেতু নতুন ক্যাম্পাসে চলে যাব তাই এখানে টেম্পোরারি গেট লাগানো যায় কিনা সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে। এ বিষয়ে আমি আর কিছু জানি না। রেজিস্ট্রার ভালো বলতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে আমি জানি না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, মেইন গেট লাগানোর জন্য নিরাপত্তা শাখাকে বলা হয়েছে ভর্তি পরীক্ষার আগেই মেইন গেট লাগিয়ে দেয়া হবে।