অমিত সাহা আটকের খবরে স্বস্তি পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্রলীগের নির্মম নির্যাতনে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। পুলিশ-প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমার ছেলের জন্য আজ গোটা বাংলাদেশ কাঁদছে, এজন্য সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন হিসেবে নাম এসেছিলো অমিত সাহার। কিন্তু মামলায় তার নাম না থাকা নিয়ে গত দুদিন ধরেই নানা আলোচনা চলছিলো বলেও জানান তিনি।
ভিসি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি চেয়েছিলাম ভিসি আবরারের মায়ের সঙ্গে দেখা করুক। কিন্তু এলাকার মানুষের বিক্ষোভের মুখে ভিসি ফিরে যান।
বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে গত রোববার রাতে কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালিয়ে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়, সেই কক্ষেই থাকত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র অমিত। পাশাপশি সে বুয়েট ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপসম্পাদক।
এদিকে অমিত সাহাকে নিয়ে এ পর্যন্ত আবরার হত্যা মামলায় মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলায় অমিত সাহা গ্রেফতার
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসের জেরে আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তার সহপাঠিরা।
এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার এজাহারভুক্ত ১২ আসামিসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১৩ জনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার ১৪ জনই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।