জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌন মিছিল ও সংহতি সমাবেশ করেছে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামপন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং উন্নয়নের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়ক থেকে একটি মৌন মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাবি উপাচার্যের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আর এই গণজোয়ার প্রমাণ করে ক্যাম্পাসে চলমান আন্দোলন একটি ষড়যন্ত্র। উপাচার্য কোনভাবেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। আমরা মনে করি চলমান সঙ্কট আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সুযোগ রয়েছে।
এসময় বক্তারা দাবি করেন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণের চলমান আন্দোলন ‘ষড়যন্ত্রমূলক ও ভিত্তিহীন’।
সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘প্রয়োজনের তাগিদেই গণজাগরণ হয়। এই গণজাগরণ প্রমাণ করে, উপাচার্যের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হচ্ছে তা একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।’
উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’-এর সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা আসুন, দেখুন কত মানুষ আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। এই সমাবেশ প্রমাণ করে আপনাদের আন্দোলন যৌক্তিক নয়। তাই আসুন মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আন্দোলন না করে একসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনা করি এবং উন্নয়নের পক্ষে থাকি।’
অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, ‘উপাচার্যের বিরুদ্ধে যে ষড়ষন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়ষন্ত্রের প্রতিবাদে আমাদের তিন দিনের কর্মসূচির আজ ছিল প্রথম দিন। আগামী ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় শহীদ মিনারের পাদদেশে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন এবং ২২ অক্টোবর ‘চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ও ষড়যন্ত্রকারীদের’ বিচার দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে।’
‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং উন্নয়নের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর’ প্ল্যাটফর্মের মুখপাত্র অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে অধ্যাপক হানিফ আলী, অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক বারতা চক্রবর্তী, সহকারী অধ্যাপক শারমিন জামান, অফিসার সমিতির সভাপতি মো. আবু হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।